
ময়মনসিংহের ফুলপুরে সোনার তৈরি একটি মূর্তি পাওয়া গেছে বলে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে পরীক্ষা–নিরীক্ষায় দেখা যায় সেটি আসলে পিতলের তৈরি। পরে পুলিশ আজ সোমবার মূর্তিটি উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বেলটিয়া বালিয়া (চকপাড়া) গ্রামের স্থানীয় স্কুলশিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন নিজ বাড়িতে একটি আধা পাকা ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। ঘরের ভিটি তৈরি করার সময় একই গ্রামের রাজমিস্ত্রি বিল্লাল হোসেন মাটি খুঁড়তে গিয়ে গত শনিবার একটি মূর্তি পেয়ে তাৎক্ষণিক সেটি নিয়ে বাড়িতে চলে যান। পরে বাড়ির মালিক মো. দেলোয়ার হোসেন জানতে পেরে বিল্লালের কাছ থেকে মূর্তিটি নিয়ে এসে নিজ হেফাজতে রাখেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে সোনার মূর্তি হিসেবে এলাকায় আলোচনার ঝড় ওঠে। আজ পুলিশ জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করে।
আজ দুপুরে মূর্তিটি উদ্ধারে ওই এলাকায় যান ফুলপুর থানার এসআই টিটু চন্দ্র দাস। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘সোনার পুতুল পাওয়ার ঘটনা জানাজানি হলে আজ ঘটনাস্থলে যাই। এটি আসলে পিতলের পুতুল। বালুর সঙ্গে এই পুতুলটি চলে আসে। বাড়ির কাজ করার সময় রাজমিস্ত্রি এটি পেয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হলে সেটি উদ্ধার করে আমার থানায় নিয়ে এসেছি।’
রাজমিস্ত্রি বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘কাজ করার সময় বালুর ভেতর থেকে উঠে আসে সোনার মতো দেখতে একটি মূর্তি। পরে সেটি বাড়িতে নিয়ে যাই আমি। এটি স্থানীয় স্বর্ণকারের দোকানে নিয়ে পরীক্ষা করিয়ে জানতে পারি, এটি আসলে পিতলের। এর মধ্যে বাড়ির মালিক আমার কাছ থেকে মূর্তিটি নিয়ে যান।’
ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাদি বলেন, সোনার মতো দেখতে মনে হলেও এটি আসলে পিতলের তৈরি মূর্তি। এটিকে ঘিরে মানুষের মধ্যে নানা ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছিল। ওই অবস্থায় সেটি উদ্ধার করে পুলিশ নিয়ে এসেছে। সেটি না আনলে মানুষের মধ্যে আরও কৌতূহল তৈরি হতো, মানুষের মধ্যে ঝামেলাও সৃষ্টি হতে পারত।