চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া সমুদ্রসৈকতে মৃত অবস্থায় একটি সামুদ্রিক মা কচ্ছপ ভেসে এসেছে। এটির খোল ও পাখনার বৈশিষ্ট্য অলিভ রিডলি বা জলপাই রঙের সামুদ্রিক মা কচ্ছপের মতো। এ ধরনের কচ্ছপ গত কয়েক বছরে কক্সবাজার, টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপে মৃত অবস্থায় ভেসে এসেছে। গতকাল রোববার সৈকতের বোয়ালিয়াকুল পয়েন্টে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীরা কচ্ছপটি পড়ে থাকতে দেখেন।
গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, সৈকতের বোয়ালিয়া খালের উত্তর পাশে কচ্ছপটি পড়ে রয়েছে। কচ্ছপের ওপরের অংশ ফেটে গেছে। সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করেন—এমন বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের কচ্ছপের প্রজনন মৌসুম শুরু হয় নভেম্বর থেকে। চলে মার্চ পর্যন্ত। সীতাকুণ্ডে ভেসে আসা কচ্ছপটির পেটেও ডিম ছিল বলে জেলেরা জানিয়েছেন।
বোয়ালিয়াকুল এলাকার জেলে হীরালাল জলদাস প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক দিন আগে সাগরে কচ্ছপটি ভাসতে দেখেছেন। দক্ষিণ দিক থেকে জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছিল কচ্ছপটি। এ ধরনের কচ্ছপ সন্দ্বীপ চ্যানেলে জীবিত অবস্থায় সচরাচর আসে না। মূলত গভীর সমুদ্রে যারা মাছ ধরে, তাদের জালে আটকা পড়ে। তখন জালের সঙ্গে উঠে গেলে জেলেরা সেগুলোকে কখনো মেরে সাগরে ফেলে দেয়। আবার কখনো আঘাত পাওয়ার পর কচ্ছপ মারা যায়। এরপর উপকূলে চলে আসে।
অপর জেলে রবীন্দ্রনাথ জলদাস প্রথম আলোকে বলেন, জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা মৃত কচ্ছপটি নিয়ে শিশুরা খেলছিল। কচ্ছপটির ভেতরে ডিমও পাওয়া গেছে। এটি একটি মা কচ্ছপ বলে তাঁর ধারণা। তাঁদের এলাকায় এই প্রথম এত বড় একটি কচ্ছপ উঠে এসেছে।
উপজেলার কুমিরা থেকে বেড়াতে আসেন সন্তোষ চক্রবর্তী নামের এক পল্লিচিকিৎসক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তিনি সুযোগ পেলেই বাঁশবাড়িয়া সৈকতে বেড়াতে আসেন। এই প্রথম একটি মৃত কচ্ছপ পড়ে থাকতে দেখেছেন তিনি। সাগরে কোনো আঘাত পেয়ে কচ্ছপটি মারা যেতে পারে বলে তাঁর ধারণা।