ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায়
ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায়

ওসমান হাদি হত্যার বিচার দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।

আজ শুক্রবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে একটি মিছিল বের করেন তাঁরা। মিছিলটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও শের–ই–বাংলা এ কে ফজলুল হক হলসংলগ্ন সড়ক ঘুরে আবার বটতলায় গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তাঁরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী নজরুল নাইমের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিপ্লবী ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকারের তরফ থেকে কোনো ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ব্যাখ্যাও এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একজন অগ্রনায়ককে দিনদুপুরে হত্যা করা হলো, সেটার বিচার এই সরকার করতে পারছে না—এটা লজ্জাজনক।

সমাবেশে ইতিহাস বিভাগের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী সিয়াম ইত্তেসাম বলেন, ‘আমরা এখানে কান্না করতে আসিনি। আমরা এখানে কালো ব্যাজ ধারণ করতে আসিনি। আমরা এসেছি হাদি হত্যার, হাদির যে রক্ত প্লাবিত হয়েছে, সে রক্তের বিচার চাইতে। ঘাতকেরা ভেবেছিল, কয়েকটি বুলেট দিয়ে হাদির ইনকিলাব ইনসাফের যে স্বপ্ন আছে, সেই স্বপ্নকে ভেঙে ফেলবে। কিন্তু ঘাতকদের বলতে চাই, এক হাদি মরে গেলেও কোটি কোটি হাদি বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে জন্ম নিয়েছে।’

জাকসুর শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক আবু উবায়দা উসামা বলেন, ‘হাদিকে হত্যার মাধ্যমে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলা বিপ্লবীদের টার্গেট করা হচ্ছে, ভয় দেখানো হচ্ছে আর খুনিদের দেশ থেকে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনের আগে যেমন জঙ্গিবাদের ফ্রেমিং তৈরি করে দমন–পীড়ন চালানো হয়েছিল, আজও তেমনি নতুন করে সেই বয়ান তৈরির চেষ্টা চলছে। আমাদের দাবি, সরকার হাদি হত্যার বিচারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অতি দ্রুত নিশ্চিত করবে। হাদি ভাইয়ের ইনসাফের বাংলাদেশ যত দিন প্রতিষ্ঠা না হবে, তত দিন আমাদের সংগ্রাম ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।’