স্বামীর মৃত্যুর পর নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌর সদরের এই বাড়িতে একাই থাকতেন মমতাজ বেগম। গতকাল রাতে এই বাড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়
স্বামীর মৃত্যুর পর নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌর সদরের এই বাড়িতে একাই থাকতেন মমতাজ বেগম। গতকাল রাতে এই বাড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়

নাটোরে বাড়িতে একা থাকতেন বৃদ্ধা, হত্যা করে স্বর্ণালংকার লুট

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌর শহরে নিজ ঘরে মমতাজ বেগম (৬৯) নামের একজনকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি প্রয়াত প্রকৌশলী এস এম শফিউল্লাহর স্ত্রী। এ ঘটনায় স্বর্ণালংকার লুট হয়েছে।

পুলিশ দুই গৃহকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে বনপাড়া পৌরসভার সরদারপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

বড়াইগ্রাম থানার সূত্রে জানা গেছে, ১২ বছর আগে মমতাজ বেগমের স্বামী ধনাঢ্য ব্যবসায়ী প্রকৌশলী শফিউল্লাহ মারা যান। এর পর থেকে তিনি একাই বাড়িতে থাকতেন। একমাত্র ছেলে জাকির হোসেন অন্য বাড়িতে থাকেন। মেয়ে বেবি আক্তার স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় বসবাস করেন।

মমতাজ বেগমের দেখাশোনা করতেন দুই গৃহকর্মী। দিনে কাজ করতেন সুফিয়া বেগম (৪০) এবং রাতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকতেন কাজী আবু শামা (৬১)।

কাজী আবু শামার ভাষ্য, গতকাল রাতে মমতাজ বেগমকে সুস্থ অবস্থায় রেখে মহল্লার মসজিদে এশার নামাজ পড়তে যান তিনি। নামাজ শেষে রাত নয়টার দিকে বাড়িতে ফেরার পর তিনি মমতাজকে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁর মুখমণ্ডল থেঁতলানো ছিল। গায়ে থাকা স্বর্ণালংকার ছিল না। তাঁর চিৎকারে আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা বাড়িতে এসে মমতাজ বেগমকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

বনপাড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক সুমন চন্দ্র দাস বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির দুই গৃহকর্মীকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। হত্যার কারণ উদ্‌ঘাটনে পুলিশ মাঠে নেমেছে।