
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ (সদর-মহানগর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রিটা রহমান। তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য মশিউর রহমান যাদু মিয়ার মেয়ে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও ২০১৯ সালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গত সোমবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে রংপুর–৩ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামুর নাম ঘোষণা করা হয়। ওই আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য রিটা রহমান। এ নিয়ে আজ বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নগরের রাধাবল্লভে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
রিটা রহমানের অভিযোগ, তাঁর চেয়ে যোগ্য কাউকে মনোনয়ন দিলে তিনি মেনে নিতেন। কিন্তু শহরের মানুষ যাঁকে ‘চাঁদাবাজ’ হিসেবে চেনেন, তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ায় তিনি মেনে নিতে পারছেন না। তবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি মনোনয়ন পাওয়া নেতার নাম উল্লেখ করেননি।
সংবাদ সম্মেলনে রিটা রহমান বলেন, ‘আমি যদি দেখি কোনো চাঁদাবাজ, যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে এবং যাঁকে শহরের লোকেরা চাঁদাবাজ, দখলদার ও জমির দখলদার কী সব বলে। আমার কাছে বহুত ডকুমেন্টস আছে। এ রকম কাউকে যদি মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাহলে আমি তাঁর পক্ষে কীভাবে কাজ করব?’ তিনি বলেন, ‘আমি হতভম্ব হয়েছি। আমার চেয়ে শিক্ষিত ও যোগ্য প্রার্থী দিলে আমার কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু এমন একজন দলের প্রার্থী হলেন, যিনি নির্বাচনে একবার অংশগ্রহণ করেছেন নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায়; কিন্তু জামানত ছিল না।’
বিএনপি প্রতিষ্ঠায় বাবার অবদানের কথা উল্লেখ করে রিটা রহমান বলেন, তাঁর বাবা মশিউর রহমান যাদু মিয়া বিএনপির সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। বিএনপির একজন প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তাঁর বাবার যে অবদান রয়েছে, এ ক্ষেত্রে তাঁর চেয়ে যোগ্য কাউকে মনোনয়ন না দিলে এটা অন্যায় হবে। রংপুর-৩ আসনে মনোনয়নের ক্ষেত্রে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করেন তিনি।
এর আগে দুপুরে রিটা রহমানকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন তাঁর অনুসারী নেতা–কর্মীরা। নগরের টাউন হল চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে পুলিশ লাইনস, সুরভী উদ্যান মোড় প্রদক্ষিণ শেষে টাউন হল চত্বরে এসে শেষ হয়।