
অপহরণের পাঁচ দিন পর বান্দরবানে রেডক্রিসেন্ট হাসপাতাল নির্মাণকাজের মাঝি (তত্ত্বাবধায়ক) মো. বাবুল মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁকে সদর উপজেলার সুয়ালকের লাম্বা রাস্তা নামের এলাকায় ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। তাঁকে ১৭ এপ্রিল রাতে একই স্থান থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়। কারা, কী কারণে তাঁকে অপহরণ করেছে, বিষয়টি জানার জন্য মো. বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
রেডক্রিসেন্টের হাসপাতাল নির্মাণকাজের ঠিকাদার জসীম উদ্দিন বাবুলকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে চোখ বাঁধা অবস্থায় মো. বাবুলকে অপহরণকারীরা সুয়ালক মাঝের পাড়া রাস্তার মাথায় ছেড়ে দিয়ে যায়। তাঁকে দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। সুয়ালক মাঝের পাড়া রাস্তার মাথা এলাকাটি বান্দরবান জেলা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে। ওই স্থানের এক কিলোমিটারের মধ্যে সুয়ালক বাজারের পাশে আনসার ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরের অবস্থান।
মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে নির্মাণকাজের ঠিকাদার জসীম উদ্দিন বলেছেন, মুক্তিপণের জন্য কোনো টাকা দেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে থানায় অপহরণ মামলা করা হয়েছে বলে তিনি জানান। কারা অপহরণের সঙ্গে জড়িত, সে বিষয়ে জানার জন্য পুলিশ বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় সুয়ালক লাম্বারাস্তা এলাকায় মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখান থেকে নির্মাণকাজ দেখভালকারী মো. বাবুলকে অপহরণ করা হয়েছিল। পাঁচ দিন পর অপহরণকারীরা তাঁকে ছেড়ে দিয়েছে।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ পারভেজ জানিয়েছেন, মো. বাবুলকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছ। তাঁর কাছ থেকে অপহরণকারীদের ব্যাপারে তথ্য নেওয়া হচ্ছে। তথ্য পাওয়া গেলে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হবে।