বিএনপির লোগো
বিএনপির লোগো

বিএনপির ‘বহিষ্কৃত’ নেতার মনোনয়ন বাতিল চেয়ে স্থানীয় ৩৩ নেতার আবেদন

সাতক্ষীরা-২ (সদর–দেবহাটা) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবদুর রউফের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বরাবর আবেদন করেছেন সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৩৩ জন নেতা। গত বৃহস্পতিবার তাঁরা যৌথভাবে এ আবেদন করেন। খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলামের কাছে আবেদনের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।

আবেদনকারী নেতারা আবদুর রউফের মনোনয়ন বাতিল করে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল আলিমকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান।

৩ নভেম্বর আসন্ন সাতক্ষীরা–২ আসনে আবদুর রউফকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। এরপর ওই দিন রাতে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের বিনেরপোতা বাইপাস মোড়ে টায়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করেন দলটির কিছু নেতা–কর্মী। এতে ঘণ্টা দুয়েকের জন্য মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ থাকে।

মহাসচিবের কাছে করা লিখিত আবেদনপত্রে বলা হয়, বিএনপি নেতা আবদুর রউফ অতীতে একাধিকবার দল পরিবর্তন করেছেন। ২০০৯ সালে বিএনপি থেকে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেওয়ার পর আবার বিএনপিতে ফিরে আসেন। দলীয় নির্দেশনা অমান্য করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় গত বছরের ২৪ এপ্রিল প্রাথমিক সদস্যপদসহ তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সেই বহিষ্কারাদেশ এখনো প্রত্যাহার হয়নি। এ ছাড়া গত ২৩ এপ্রিল একটি মাহফিলে এক ইসলামি বক্তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক ও আপত্তিকর আচরণের কারণে তিনি দেশব্যাপী সমালোচিত। ওই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় আলেম-ওলামা বিক্ষোভ সমাবেশ করে তাঁর গ্রেপ্তারের দাবি জানান। এমতাবস্থায় এমন নেতা দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় দলের ঐক্য নষ্ট হবে বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা হয় সদর উপজেলার লবশা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলাম, বাঁশদাহ ইউনিয়নের সভাপতি নজরুল ইসলাম, বৈকারী ইউনিয়নের সভাপতি ইউনুস আলী, শিবপুর ইউনিয়নের সভাপতি তাবাসুজ্জামান, কুশখালী ইউনিয়নের সভাপতি আবুল বাশার, ধুলিহর ইউনিয়নের সভাপতি মো. ফারুক হোসেন ও আগরদাড়ি ইউনিয়নের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন। তাঁরা বলেন, আবদুল আলিম দীর্ঘদিন সদর উপজেলা বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁরা তাঁকে সুখে-দুঃখে কাছে পেয়েছেন। তাঁরা তাঁর দলীয় মনোনয়ন চান।

অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবদুর রউফ প্রথম আলোকে বলেন, বিগত ১৭ বছরের কর্মকাণ্ড দেখে কেন্দ্র থেকে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যাঁরা বিগত দিনে আন্দোলন–সংগ্রামে ছিলেন না, নেতা–কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না, তাঁরা এখন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবু জাহিদ বলেন, বিএনপির মহাসচিব বরাবর তৃণমূল নেতাদের আবেদনের বিষয়টি তিনি জানেন না। অন্যদিকে আবদুর রউফের বহিষ্কার প্রত্যাহার–সম্পর্কিত কোনো চিঠি তিনি পাননি।