টাঙ্গাইল শহরের কবি নজরুল সরণির (জেলা সদর সড়ক) বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। রোববার তোলা
টাঙ্গাইল শহরের কবি নজরুল সরণির (জেলা সদর সড়ক) বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। রোববার তোলা

পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণার জেরে ১৪৪ ধারা, বাসাইলে সমাবেশ করতে পারেননি কাদের সিদ্দিকী

টাঙ্গাইলের বাসাইলে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করতে পারেননি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম। রোববার বেলা তিনটায় বাসাইল শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একই সময়ে সেখানে ছাত্রসমাজের ব্যানারে ছাত্র সমাবেশের কর্মসূচি দেওয়া হয়। পরে রোববার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বাসাইল শহীদ মিনার ও আশপাশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।

এর আগে গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে কাদের সিদ্দিকীর টাঙ্গাইল শহরের কবি নজরুল সরণির (জেলা সদর সড়ক) বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুপুরে কাদের সিদ্দিকী নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন, তিনি বাসাইলে সমাবেশ করতে যাবেন।

কাদের সিদ্দিকীর ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, যে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, তার বাইরে সমাবেশ করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু দুপুর থেকেই কাদের সিদ্দিকীর টাঙ্গাইল শহরের বাসা ও আশপাশে পুলিশ অবস্থান নেয়।

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিকেলে জানান, উনি (কাদের সিদ্দিকী) বের হলে আবার কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। তাই তাঁরা সেখানে অবস্থান করছেন।

বাসাইলে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারির পরিপ্রেক্ষিত সকাল থেকে উপজেলা সদরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী টহল দিতে শুরু করে। উপজেলা সদরে প্রবেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয় পুলিশ।

বাসাইল থানার ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, একই স্থানে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও ছাত্র সমাবেশের আহ্বান করায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। যেকোনো পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশের কার্যক্রম জোরদার করা হয়। কোনো পক্ষই সমাবেশ করতে পারেনি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ১ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর মুক্তিযুদ্ধকালীন কাদেরিয়া বাহিনীর কোম্পানি কমান্ডার কাজী আশরাফ হুমায়ুন ওরফে হুমায়ুন বাঙ্গাল লিখিতভাবে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করার জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। তিনি প্রয়োজনীয় যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বাসাইল থানার ওসির কাছে অনুলিপি দেন। অন্যদিকে ছাত্রসমাজের ব্যানারে একই স্থানে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ৫ সেপ্টেম্বর লিখিত আবেদন করেন রনি মিয়া নামের এক ব্যক্তি। পরে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে।