
কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা বিএনপির সম্মেলন ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আবুল হাসান ওরফে রতন (৫৫) নামের এক নেতা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত পাঁচজন।
আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে তাড়াইল উপজেলার রাউতি ইউনিয়নের বানাইল বাজারে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে নিহত আবুল হাসান রাউতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি।
স্থানীয় বাসিন্দা ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, আগামী বুধবার তাড়াইল উপজেলা বিএনপির সম্মেলন। এর মাধ্যমে উপজেলা বিএনপির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। সম্মেলনে দলীয় ভোটার তালিকা নিয়ে গতকাল শনিবার বিকেলে আলোচনায় বসেন রাউতি ইউনিয়নের দলীয় নেতারা। এ সময় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান ও সদস্য গিয়াসউদ্দিনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়।
ওই ঘটনার জেরে আজ বেলা ১১টার দিকে বানাইল বাজারে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ান। এতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হাসানসহ পাঁচজন। পরে তাঁদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুল হাসানকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল মিয়া বলেন, বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় ছুরিকাঘাতে আবুল হাসান গুরুতর আহত হন। তাঁকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আবুল হাসানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এখনো কাউকে আটক করা যায়নি।
নিহত আবুল হাসানের ভাগনে শামীম মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘কাউন্সিলকে ঘিরে তারা মামাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বিএনপির নেতারা বিষয়টি নিয়ে শোকাহত। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ব্যক্তিগত রেষারেষি থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করেন মাজহারুল।