খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও সহিংসতার প্রতিবাদে ছাত্র-যুব-নাগরিক সমাজের বিক্ষোভ। আজ বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম নগরের চেরাগি পাহাড় মোড় এলাকায়
খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও সহিংসতার প্রতিবাদে ছাত্র-যুব-নাগরিক সমাজের বিক্ষোভ। আজ বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম নগরের চেরাগি পাহাড় মোড় এলাকায়

খাগড়াছড়িতে সহিংসতার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ

খাগড়াছড়িতে অবরোধ কর্মসূচিতে হামলা ও সহিংসতার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সচেতন ছাত্র-যুব-নাগরিক সমাজ। আজ রোববার বিকেলে নগরের চেরাগী পাহাড় এলাকায় সমাবেশ করেন তাঁরা। এর আগে নগরের ডিসি হিল এলাকা থেকে মিছিল শুরু করেন তাঁরা। মিছিলটি ডিসি হিল, চেরাগী মোড়, প্রেসক্লাব ঘুরে চেরাগীতে শেষ হয়।

সমাবেশে সচেতন ছাত্র-যুব-নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি দীপায়ন চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ছাত্র ফেডারেশনের নগরের সভাপতি সাইফুর রুদ্র, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নগরের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আল জাওয়াদ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক সোহেল চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য এন্টি চাকমা প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, খাগড়াছড়িতে এক পাহাড়ি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পরও ধর্ষকদের গ্রেপ্তার ও বিচার না করে উল্টো জুম্ম ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিতে হামলা করা হয়েছে। তিন দিন ধরে খাগড়াছড়িতে চলমান অবরোধে শামিল হওয়া ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ এবং গুইমারায় গুলিবর্ষণে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। যা নিন্দনীয় এবং রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক অধিকারকে খারিজ করার শামিল।

বক্তারা আরও বলেন, প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে বাড়ি–ঘর, দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও হামলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে, যা অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও বিচার বিভাগের কার্যকারিতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। অবিলম্বে চলমান পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাকে শান্তিপূর্ণ সমাধান ও ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

চট্টগ্রাম টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষার্থী প্রণয় চাকমার সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদের সিঞ্চন ভৌমিক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধন কিশোর ত্রিপুরা প্রমুখ।

এর আগে খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’-এর ব্যানারে ডাকা সড়ক অবরোধ করা হয়। অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সদর উপজেলা ও পৌরসভা এলাকায় এবং গুইমারা উপজেলায় পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। আজ জেলার গুইমারা বাজারে অগ্নিসংযোগ ও গুলির ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।