চাঁদপুরের মেঘনায় দুই লঞ্চে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

দুটি লঞ্চের সংঘর্ষে নিহতদের লাশ ঢাকার সদরঘাটে আনা হয়। গত শুক্রবার দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে দুই লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনায় আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১০ জনসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। প্রতিষ্ঠানটির চাঁদপুর নদী বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) বাবু লাল বৈদ্য গতকাল শনিবার রাত ১১টায় হাইমচর থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

যাঁদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁরা হলেন মো. ফিরোজ খান (৫৩), মো. কামাল হোসেন (৫৫), মো. মনিরুল ইসলাম (৪৩), মো. সুলতান খান (৪৫), মো. মিন্টু (২৮), মো. সোহেল (৪০), মহিন হাওলাদার (২৫) ও মো. মনিরুজ্জামান (৪০)। এই আটজন এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের কর্মচারী।

আসামিদের মধ্যে আটক অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের চার কর্মচারী মিন্টু, সোহেল, মহিন হাওলাদার ও মনিরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ রোববার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামের দুই লঞ্চের সংঘর্ষে চারজন যাত্রী নিহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন। চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা ও হরিণা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসান বলেন, বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর নদীবন্দরের পক্ষে দায়ের করা মামলাটি তদন্ত ও পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করবে নৌ পুলিশ।

নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের গ্রেপ্তার চার আসামিকে ঝালকাঠি থেকে গতকাল চাঁদপুর নৌ থানায় আনা হয়। আজ তাঁদেরকে চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।