মারা যাওয়ার পর লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে রাখা হয়েছিল জাতীয় পার্টির নেতা রতন কুমার মিত্রর মরদেহ। রোববার রাতে তাঁর ছেলে রাহুল মিত্র কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়
মারা যাওয়ার পর লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে রাখা হয়েছিল জাতীয় পার্টির নেতা রতন কুমার মিত্রর মরদেহ। রোববার রাতে তাঁর ছেলে রাহুল মিত্র কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়

জামিনে মুক্তি পেয়ে বাবার মুখাগ্নি করলেন আওয়ামী লীগ নেতা

বাবার মৃত্যুর ৩৬ ঘণ্টা পর জামিনে কারামুক্ত হয়ে মুখাগ্নি করলেন মাগুরার আওয়ামী লীগ নেতা রাহুল মিত্র। গত শনিবার দুপুর ১২টার দিকে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর বাবা রতন কুমার মিত্র মারা যান। এরপর গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে পৌরসভার সাতদোহা শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

রাহুল মিত্র মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক। তিনি পেশায় দন্তচিকিৎসক। ঢাকার মিরপুরে নিজ প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাসেবা দেন তিনি।

পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রয়াত রতন কুমার মিত্র আইন পেশার পাশাপাশি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি জেলা জাতীয় পার্টির একটি অংশের সভাপতি ছিলেন। তাঁর দুই ছেলের একজন কয়েক বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। আরেক ছেলে রাহুল মিত্র পেশায় দন্তচিকিৎসক। ২০২৩ সালের এপ্রিলে ঘোষিত মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক পদ পান। গত ৪ মে ঢাকার মিরপুরের সেনপাড়া পর্বতা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পর থেকে মিরপুর মডেল থানায় জুলাই–আগস্টের ঘটনায় হওয়া একটি মামলায় আসামি হিসেবে কারাগারে ছিলেন রাহুল মিত্র।

পরিবারের সদস্যরা বলেন, শনিবার বেলা ১১টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন শহরের সৈয়দ আতর আলী সড়কের বাসিন্দা রতন কুমার মিত্র। মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দুপুর ১২টার দিকে তিনি মারা যান। একমাত্র জীবিত ছেলে কারাগারে থাকায় তাঁর মরদেহ ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সে রাখা হয়। গতকাল বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন রাহুল মিত্রর আইনজীবী। বিকেল চারটার দিকে ঢাকার একটি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান ওই চিকিৎসক। পরে তিনি রাতে মাগুরায় পৌঁছালে রাত ১২টার দিকে রতন কুমার মিত্রর শেষকৃত্য হয়।

গতকাল রাতে রাহুল মিত্র বলেন, ‘আমার বাবা হয়তো আরও কিছুদিন বেঁচে থাকতেন। আমার চিন্তাতেই শেষ হয়ে গেলেন। গত কিছুদিন আমাকে নিয়ে তাঁর চিন্তার অন্ত ছিল না।’