
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোয়ারাবাজার-টেংরাটিলা সড়কের পাশে দুটি স্থানে সরকারি জমি দখল করে খামার ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শান্তিপুর ও গিরিসনগর এলাকায় এসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন তাঁরা।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, গিরিসনগরের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আতাউর রহমান ফরাজী দীর্ঘদিন ধরে সরকারি জমি দখল করে খামার ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন।
এ বিষয়ে শান্তিপুর গ্রামের বাসিন্দাদের কয়েকজন, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মাসুদ মিয়া ও আবদুল আউয়াল পৃথকভাবে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে তাঁরা বলেন, দোয়ারাবাজার উপজেলা সদর থেকে টেংরাটিলা গ্যাস ফিল্ড এলাকায় যাতায়াতের সড়কসংলগ্ন শান্তিপুর এলাকায় সরকারি জমি দখল করে আতাউর রহমান একটি পোলট্রি খামার গড়েছেন। সড়কটির পূর্ব দিকে তাঁর পোলট্রি খামারের পাশে স্থানীয় একটি মসজিদ আছে। সেখান থেকে আসা দুর্গন্ধে মুসল্লিদের সমস্যা হচ্ছে।
আরেক অভিযোগে বলা হয়, গিরিসনগর গ্রামে খৈয়াজুরি বিলের পানিনিষ্কাশনের খালে মাটি ফেলে ভরাট করে মাছের ঘের করা হয়েছে। এতে পানি চলাচলে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে এবং কৃষিজমিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা জালাল উদ্দিন বলেন, ‘আমার জমিতে হাওরের পানি জমে থাকে। পানি নামতে না পারায় ধান কাটার সময় সমস্যা হয়।’
কলেজছাত্র মো. রাজীব বলেন, ‘সরকারি জমি দখল করে ব্যক্তিগত ব্যবসা করা এবং মানুষের ভোগান্তি বাড়ানো ঠিক নয়। আমরা দ্রুত দখলমুক্তির দাবি জানাচ্ছি।’
সরকারি জমির অবৈধ দখলের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরির কথা জানিয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার রিপন চাকমা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। এখন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।’
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আতাউর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারি জমি দখলের অভিযোগ সত্য নয়। যেসব জায়গায় খামার করেছি, এগুলোর বেশির ভাগই আমার মালিকানাধীন। একটি প্লট নিয়ে সমস্যা রয়েছে, যা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।’
দোয়ারাবাজার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুশান্ত সিংহ বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।