কক্সবাজারে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার ভোরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে ৯ ডিসেম্বর কক্সবাজার শহরের বাইপাস সড়কে মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তরা হেলমেট পরে এসে তাঁকে গুলি করেন।
নিহত যুবদল নেতার নাম মোহাম্মদ ফারুক (৩৪)। তিনি কক্সবাজার বৃহত্তর বাস টার্মিনাল যুবদল ইউনিটের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। দলটির নেতা-কর্মীদের দাবি, পূর্ববিরোধের জেরেই ফারুককে হত্যা করা হয়েছে। একই ঘটনায় শাখাটির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলামও গুলিবিদ্ধ হন। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মোহাম্মদ ফারুকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজার পৌর যুবদলের সভাপতি আজিজুল হক সোহেল। তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধ যুবদল নেতা মোহাম্মদ ফারুক ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর মরদেহ কক্সবাজারে আনা হচ্ছে। অপর গুলিবিদ্ধ যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জেলা যুবদলের সভাপতি সৈয়দ আহমদ বলেন, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে গুলিবিদ্ধ সাইফুলের আপন ভাই সাইদুল ও চাচাতো ভাই কায়সারকে হত্যা করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিরা সাইফুলের প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত। তাঁরাই ৯ ডিসেম্বর রাতে সাইফুল ও ফারুককে গুলি করেছে।
এদিকে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমি উদ্দিন বলেন, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর আহত দুজনকে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল, এরপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। গুলির ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে সম্প্রতি বান্দরবানের লামার একটি রিসোর্ট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।