চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে এ জানাজা হয়। জানাজায় ইমামতি করেন কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব আবু দাউদ মুহাম্মদ মামুন। এতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও কর্মকর্তারা অংশ নেন।
জানাজার নামাজ শেষে খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব মসজিদ, মন্দির ও প্যাগোডাতেও খালেদা জিয়ার আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করা হয়। জানাজায় উপস্থিত হয়ে উপাচার্য মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার বলেন, ‘অনেক ছাত্র ঢাকায় জানাজায় যেতে পারেননি। এ কারণে আমরা এই গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেছি। সব মানুষ যাঁকে ভালোবাসে, তাঁকে আল্লাহ নিশ্চয় ক্ষমা করবেন।’
গায়েবানা জানাজায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী, কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক আমির মুহাম্মদ নসরুল্লাহ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ, ছাত্রীদের আবাসিক দেশনেত্রী খালেদা জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন।
জানাজায় আরও অংশ নেন চাকসুর ভিপি মো. ইব্রাহীম, জি এস সাঈদ বিন হাবিব, দপ্তর সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক মো. মোনায়েম শরীফ, যোগাযোগ ও আবাসনবিষয়ক সম্পাদক মো. ইসহাক ভূঞা, সহযোগাযোগ ও আবাসনবিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুল সালমান প্রমুখ।
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গতকাল মঙ্গলবার সকাল ছয়টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
গত ২৩ নভেম্বর শেষ দফায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে কার্যত খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন। এক মাসের বেশি সময় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকেরা তাঁর চিকিৎসায় যুক্ত ছিলেন। সব চেষ্টা ব্যর্থ করে গতকাল সকালে চিরবিদায় নেন তিনি।
আজ বুধবার ঢাকার গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসায় খালেদা জিয়ার মরদেহ নেওয়ার পর সেখানে স্বজন ও নেতা-কর্মীরা তাঁকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান। গুলশান থেকে খালেদা জিয়ার মরদেহ জানাজার জন্য নেওয়া হয় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। বেলা তিনটার দিকে সেখানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।