Thank you for trying Sticky AMP!!

পিরোজপুরে মা-ছেলের মৃত্যু, কীটনাশকের আলামত পেয়েছেন চিকিৎসক

পিরোজপুর জেলার মানচিত্র

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় কীটনাশক পান করে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দাম্পত্য কলহের জেরে ছেলেকে প্রথমে কীটনাশক পান করানোর পর নিজে পান করে ওই মা ‘আত্মহত্যা’ করেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামের ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার (ইজিবাইক) চালক মো. রুবেলের স্ত্রী রোজিনা বেগম (২৬) ও তাঁর আট বছর বয়সী ছেলে মো. হৃদয়।

হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোলবুনিয়া গ্রামের মো. রুবেলের সঙ্গে স্ত্রী রোজিনা বেগমের দাম্পত্য কলহ চলছিল। আজ বিকেলে রোজিনা বেগম ঘরে রাখা কীটনাশক প্রথমে ছেলে হৃদয়কে পান করান। এরপর তিনি নিজে কীটনাশক পান করেন। কীটনাশক পান করার পর মা ও ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রতিবেশীরা তাঁদের উদ্ধার করে পাশের মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে হৃদয়কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন এবং রাত আটটার দিকে রোজিনা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. ফেরদৌস ইসলাম বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর হৃদয় মারা যায়। রোজিনা বেগমের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মা ও ছেলে কীটনাশক পান করেছিলেন। তাঁদের মুখ থেকে কীটনাশকের গন্ধ পাওয়া যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রতিবেশী বলেন, পরকীয় সম্পর্কের কারণে রুবেলের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রোজিনা বেগমের দাম্পত্য কলহ চলছিল। আজ বিকেলে রুবেল বাড়িতে ছিলেন না। তখন মা ও ছেলে কীটনাশক পান করেন। শুনেছেন রোজিনা বেগম প্রথমে ছেলেকে কীটনাশক পান করিয়ে পরে নিজে পান করেন।

ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুজ্জামান বলেন, ‘শুনেছি, মা ও ছেলে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’