
নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায় গৃহবধূ সুলতানা আক্তার ওরফে শান্তা (২২) হত্যা মামলার রায়ে স্বামী আমিরুল ইসলাম ওরফে বাবুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ কাইউম খান প্রথম আলোকে জানান, আসামির উপস্থিতিতে আদালত এই রায় দেন। রায় ঘোষণার পর আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দণ্ড পাওয়া আমিরুল ইসলামের বাড়ি সোনারগাঁ উপজেলার বারদী এলাকায়।
আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে আমিরুলের সঙ্গে একই এলাকার সুলতানার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। পরে তাঁরা বন্দর উপজেলার রাজবাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতে থাকেন। তবে বিয়ের পর থেকে দুজনের মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে প্রায় সময় ঝগড়া হতো এবং সুলতানাকে তাঁর স্বামী মারধরসহ নানাভাবে শারীরিক নির্যাতন করতেন।
এসবের জেরে ২০২০ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাতে সুলতানার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুতা দিয়ে আঘাত করে তাঁকে হত্যা করেন স্বামী আমিরুল ইসলাম। পরে সুলতানার লাশ কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে গুমের চেষ্টা করেন। তিন দিন পর সকালে সুলতানার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁর বাবা আবদুল করিম মোল্লা ওই দিনই বন্দর থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ আসামি আমিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করলে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে জানান, আদালত এই মামলায় ১৮ সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন।