কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ছুরিকাঘাতে আহত খায়ের উদ্দিন (৩৯) নামের এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল শনিবার রাত আটটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের হাসিমারকাটা এলাকার কামাল উদ্দিনের ছেলে।
২০ মে বেলা ১১টার দিকে হাসিমারকাটা এলাকায় খায়ের উদ্দিন এবং আরিফ হোসেন নামের এক যুবক ছুরিকাঘাতে আহত হন। ওই দিনই আহত আরিফ হোসেনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় খায়েরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
খায়ের উদ্দিনের মৃত্যুর বিষয়টি কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইলিয়াছ প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ছুরিকাঘাতে আরিফ হোসেন নিহত হওয়ার চার দিন পর আহত খায়ের উদ্দিনও মারা গেছেন। একই ঘটনায় দুই যুবক মারা যাওয়ায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ছুরিকাঘাতে হতাহতের ঘটনায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে হাসিমারকাটা এলাকার সাজ্জাদ হোসেন ওরফে সুজন (৩৫), তাঁর মা ফাতেমা বেগম (৫৫), বোন রেশমী আকতার (২২), ভাবি রচনা আকতার (২৮) ও সাজ্জাদের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানাকে (২৫) আটক করে। পরে নিহত আরিফের ভাই আরমান হোসেন বাদী হয়ে আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করলে তাঁদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মামলার বাদী আরমান হোসেন বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে সাজ্জাদদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধ নিয়ে বিভিন্ন সময় সালিশি বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু সাজ্জাদ এসবে তোয়াক্কা করেন না। একপর্যায়ে ২০ মে তিনি আমার ভাই আরিফ ও জ্যাঠাতো ভাই খায়ের উদ্দিনকে ছুরিকাঘাত করেন। চার দিনের ব্যবধানে দুজনই মারা যান।’
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ছুরিকাঘাতে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে। মামলার সব আসামি গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে রয়েছেন। ওসি বলেন, ‘আহত খায়ের উদ্দিন মারা যাওয়ার খবর শুনেছি। চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানা তাঁর ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করছে এবং চমেক হাসপাতালে তাঁর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হবে।’