কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মনোনয়নবঞ্চিত দলটির পাঁচ নেতা ও তাঁদের অনুসারী নেতা–কর্মীরা প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন
কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মনোনয়নবঞ্চিত দলটির পাঁচ নেতা ও তাঁদের অনুসারী নেতা–কর্মীরা প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন

কিশোরগঞ্জ-১ আসন

বিএনপির প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মনোনয়নবঞ্চিত পাঁচ প্রার্থী ও তাঁদের অনুসারী নেতা-কর্মীরা প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।

মঙ্গলবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কের সাদুল্লারচর বাজার থেকে চৌদ্দশত বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এই কর্মসূচির সময় ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মনোনয়নবঞ্চিত পাঁচ প্রার্থী হলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হিলালী, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রেজাউল করিম খান (চুন্নু), জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রুহুল হোসাইন, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শরীফুল ইসলাম এবং সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ (সোহেল)।

নেতারা মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দ্রুত মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানান। দাবি মানা না হলে সামনে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন তাঁরা। আগামীকাল রেলপথে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।

৪ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশে আরও ৩৬টি সংসদীয় আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেখানে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলামের নাম ঘোষণা করা হয়।

মাজহারুল ইসলাম দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীরা সংবাদ সম্মেলন, বিক্ষোভ মিছিল, ঝাড়ুমিছিল, মশালমিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি পালন করে আসছেন।

এ বিষয়ে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘মনোনয়ন পাওয়ার পরেই আমি অন্যান্য মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতার বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের সহযোগিতা চেয়েছি। মনোনয়নপ্রত্যাশী অনেকের মধ্যে দলের নীতিনির্ধারকেরা যাচাই-বাছাইয়ের পর আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। আসনের দুই উপজেলার বিএনপির নেতা-কর্মীরাও আমার সঙ্গে আছেন। হাজার হাজার কর্মী আমার পক্ষে ধানের শীষের প্রতীকে রাতদিন মাঠে কাজ করছেন। এ সময় কিছু লোক জনসাধারণের দুর্ভোগ তৈরি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। এভাবে সড়কে মানুষের ভোগান্তি না তৈরি করে পারলে কেন্দ্রে গিয়ে মনোনয়ন পরিবর্তন করে নিয়ে আসুক। আমি মেনে নেব। তবু এ রকম অশান্তি তৈরি করে দলের বদনাম না করার জন্য তাঁদের আহ্বান জানাচ্ছি।’