
রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে আজ সোমবার বিকেলে পবা উপজেলার দুটি এলাকায় দুই পক্ষের পৃথক বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক শফিকুল হককে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁকে বহিরাগত প্রার্থী দাবি করে পবা ও মোহনপুর উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দাদের মধ্য থেকে প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। জেলা বিএনপির সদস্য রায়হানুল আলম ও সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী কবির হোসেনের ছেলে নাসির হোসেনের অনুসারীরা এ দাবি জানান।
আন্দোলনকারীদের একটি পক্ষ আজ বিকেলে পবা উপজেলার কাটাখালীতে স্থানীয় প্রার্থী হিসেবে নাসির হোসেনের নাম ঘোষণার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তাঁরা অন্য কোনো প্রার্থীকে মানবেন না বলে ঘোষণা দেন।
অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে রায়হানুল আলমের নাম ঘোষণার দাবিতে বিকেলে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের আন্ধার কোটার মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল হয়। এতে অংশ নেন উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা। মিছিলটি আন্ধার কোটা মোড় থেকে শুরু হয়ে স্থানীয় বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, রাজশাহীর ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটি আসনে স্থানীয় প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজশাহী-৩ আসনে দেওয়া হয়েছে বহিরাগত প্রার্থী। তৃণমূল নেতা–কর্মীদের মতামত উপেক্ষা করে কেন্দ্র থেকে শফিকুল হককে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি রাজশাহী-১ আসনের ভোটার এবং দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় রাজনীতির বাইরে। দলীয় কর্মসূচি বা আন্দোলনে তিনি উপস্থিত ছিলেন না। জেলা বিএনপির সদস্য রায়হানুল আলম দলের দুঃসময়ে মাঠে ছিলেন এবং তৃণমূলের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন। তাঁকে দলের প্রার্থী না করায় স্থানীয় নেতা–কর্মীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
হুজরীপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মজিবুর রহমান বলেন, রাজশাহী-৩ আসনে স্থানীয় প্রার্থী দেওয়া হয়নি। কিন্তু অন্য আসনগুলোতে স্থানীয় প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে দল যখন কঠিন সময় পার করছে, তখন যাঁরা রাজপথে ছিলেন না, তাঁদের হঠাৎ প্রার্থী করা হলে তৃণমূলের মনোবল ভেঙে যাবে। এ ক্ষেত্রে আন্দোলন ও সংগ্রামের সময় যাঁরা পাশে ছিলেন, তাঁদেরই প্রাধান্য দেওয়া উচিত।
জেলা বিএনপির সদস্য রায়হানুল আলম বলেন, এলাকার মানুষের দাবি, এ আসনে জিততে হলে স্থানীয় প্রার্থী দিতে হবে। এখানে প্রতিপক্ষের শক্ত প্রার্থী রয়েছে। বাইরের প্রার্থী এনে এই আসনে বিজয়ী হওয়া কঠিন হবে।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন হড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম ও বেলাল হোসেন, দামকুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম, হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি শামসুল হাজি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আউয়াল হোসেন, প্রজন্ম-৭১-এর জেলা আহ্বায়ক মিলন হোসেন প্রমুখ।