সিলেটের হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত শেষে গণসংযোগ শুরু করেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। আজ বুধবার দুপুরে
সিলেটের হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত শেষে গণসংযোগ শুরু করেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। আজ বুধবার দুপুরে

‘মহড়া’ দিয়ে সিলেট-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চাইলেন সাবেক মেয়র আরিফুল হক

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ (নগর ও সদর) আসনে প্রার্থী হতে চান, কিছুদিন ধরে আকার-ইঙ্গিতে এমন কথা বলে আসছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি আসনটিতে নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করলেন।

আজ বুধবার নগরের হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর দরগাহ মসজিদে জোহরের নামাজ আদায় শেষে দরগাগেট এলাকায় আরিফুল হক চৌধুরী ব্যাপক লোকসমাগম ঘটিয়ে প্রার্থিতার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি জানান, তিনি বিএনপির দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। তিনি আশাবাদী তাঁর ব্যাপক জনসমর্থনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দল তাঁকে সিলেট-১ আসনে মনোনয়ন দেবে।

আরিফুল হক চৌধুরী বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। স্থানীয় বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, বিএনপির চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদীরও ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ধানের শীষের পক্ষে সিলেট-১ আসনে প্রচারণা শুরু করেছেন। তিনি গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে দলের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এবারও তিনি দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী।

প্রার্থিতা ঘোষণা উপলক্ষে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ করেন আরিফুল হক চৌধুরী। আজ বুধবার দুপুরে

নামাজ আদায় শেষে আরিফুল হক চৌধুরী হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর দরগাহের সামনে থেকে নির্বাচনী শোডাউন (মহড়া) শুরু করেন। এ সময় তিনি হাজারো কর্মী-সমর্থক নিয়ে নগরের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফাসংবলিত প্রচারপত্র বিলি করেন। তাঁর এ কর্মসূচিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মীয় নেতা, শিক্ষক, আইনজীবী, সংস্কৃতিকর্মী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, পরিবহনশ্রমিক প্রতিনিধিসহ কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন।

শোডাউন করে নগরের কোর্টপয়েন্ট এলাকায় বক্তব্য দেন আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘সিলেটবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আমি সিলেট-১ আসনে দলের মনোনয়নের জন্য আবেদন জানাচ্ছি। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের সম্পৃক্ততা ও ভালোবাসা যাঁদের সঙ্গে থাকবে, দল তাঁর পক্ষেই সিদ্ধান্ত নেবে। দলের নমিনেশন বোর্ড বসলে যেন আমার প্রতি ন্যায্য বিচার হয়, এটাই প্রত্যাশা।’

বিএনপির মনোনয়নে মেয়র হওয়া আরিফুল হক আরও বলেন, ‘আমি সব সময় দলের ডিসিপ্লিন (শৃঙ্খলা) মেনে আসছি। আমি কখনো দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাইনি। ৪৭ বছর আমি দলের সঙ্গে আছি। আমার সঙ্গে জনসম্পৃক্ততা কতটুকু আছে, সেটা আজকের প্রচার অভিযানে মানুষের ঢল দেখলে বুঝবেন। আমি মনে করি, আমার দল যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটা মেনে নেব। কারণ, আমরা সবাই ধানের ছড়ার।’

কর্মসূচি চলাকালে আরিফুল হকের কর্মী-সমর্থকেরা ‘এই সিলেটের মাটি, আরিফ ভাইয়ের ঘাঁটি’সহ নানা স্লোগান দেন। এ সময় তাঁরা সিলেটের উন্নয়ন আর অগ্রগতির স্বার্থে আরিফুল হক চৌধুরীর জনপ্রিয়তাকে বিবেচনায় নিয়ে তাঁকে সিলেট-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান।