Thank you for trying Sticky AMP!!

থানার কর্মচারীর ‘আত্মহত্যা’, ওসির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ

পিরোজপুর জেলার মানচিত্র

পিরোজপুর সদর থানার পরিচ্ছন্নতাকর্মী আল মামুন শেখের (৪০) ‘আত্মহত্যার’ ঘটনায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) দায়ী করছে পরিবার। আল মামুন শেখের স্ত্রী মরিয়ম বেগম অভিযোগ করেন, সদর থানার মসজিদের জায়নামাজ চুরি হওয়ায় ঘটনায় তাঁর স্বামীকে সন্দেহ করে মারধর করেন ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন। এতে লজ্জায় আত্মহত্যা করেন মামুন শেখ।

তবে এই অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, জায়নামাজ চুরির ঘটনা সত্য। তবে এ ঘটনায় মামুনকে বকাঝকা কিংবা মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

গত সোমবার কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন আল মামুন শেখ। তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। কীটনাশক পানের আগে তিনি পিরোজপুর সদর থানা ও ইন্দুরকানি থানার ওসির বিরুদ্ধে একটি চিরকুট লেখেন।

মামুন শেখের স্ত্রী মরিয়ম বেগম বলেন, ‘রোববার বিকেলে আমার স্বামী পিরোজপুর সদর থানা থেকে ইন্দুরকানি উপজেলা সদরে আমাদের ভাড়া বাসায় আসেন। তিনি বাসায় আসার পর খুব বিমর্ষ ছিলেন। এ সময় তিনি জানান, সদর থানার মসজিদ থেকে একটি জায়নামাজ চুরি হয়েছে। এ জন্য তাঁকে সন্দেহ করে থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন মারধর করেছেন।’ ওসির মারধরের পর লজ্জায় তাঁর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন বলে তাঁর দাবি।

মামুনের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে মামুন কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

মামুন শেখের স্ত্রী মরিয়ম বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী ছিলেন সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। আমাদের কোনো জমিজমা নেই। স্বামীর মৃত্যুর পর দুটি সন্তান নিয়ে আমি অসহায় হয়ে পড়েছি। পিরোজপুরের পুলিশ সুপার ফোন করে আমার সন্তানদের দেখভালের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেছেন।’

পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান বলেন, দুই ওসির বিরুদ্ধে চিরকুট লিখে আত্মহত্যার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।