
দিনাজপুরের হাকিমপুরে নিজ শয়নকক্ষে আড়ার সঙ্গে দড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকা অবস্থায় সাদিয়া আক্তার (২৫) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে পৌর শহরের মধ্য বাসুদেবপুর মাঠপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ভাষ্য, মরদেহটি তিন–চার দিন ধরে ঝুলছিল।
নিহত সাদিয়া আক্তার জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর গ্রামের আবদুস সালামের মেয়ে। তাঁর স্বামীর নাম সাগর হোসেন। পারিবারিক কলহের কারণে সাদিয়া আক্তার এক মাস ধরে হাকিমপুর পৌর শহরের মাঠপাড়া এলাকায় টুলু নামের এক ব্যক্তির বাসায় একা ভাড়া থাকতেন স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকেলে হাকিমপুর পৌর শহরের মধ্য বাসুদেবপুর মাঠপাড়া এলাকায় একটি বাসার শয়নকক্ষে এক নারীর মরদেহ ঝুলছে এমন সংবাদ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ গিয়ে ওই বাসা থেকে সাদিয়া আক্তার নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ থেকে পচা গন্ধ বের হচ্ছিল। ওই নারী তিন-চার দিন আগে মারা যান বলে ধারণা পুলিশের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে জানা যায়, এক প্রতিবেশী বেলা তিনটার দিকে সাদিয়া আক্তারের খোঁজ নিতে তাঁর বাসায় আসেন। এ সময় ওই প্রতিবেশী বাসার দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। পরে জানালার ফাঁক দিয়ে ঘরের ভেতরে সাদিয়াকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখা যায়। পরে বিষয়টি ওই প্রতিবেশী আশপাশের বাড়ির লোকজনকে জানান। স্থানীয় ব্যক্তিরা খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাসার দরজা ভেঙে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে হাকিমপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার বিকেলে পৌর শহরের মধ্য বাসুদেবপুর মহল্লার একটি ভাড়া বাসা থেকে সাদিয়া আক্তার নামের এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা রয়েছে। মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারীর মরদেহ ঘরে তিন–চারদিন ধরে ঝুলছিল। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে। ওই নারীর মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে।