
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার দুরমুঠ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর-লুটপাটের পর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। সম্প্রতি সেই কার্যালয় মেলার দর্শনার্থীদের গাড়ি রাখার গ্যারেজ বানানো হয়েছে। স্থানীয় যুবক মোহাম্মদ শাকিল গ্যারেজটি পরিচালনা করছেন।
দুরমুঠ মেলায় আসা দর্শনার্থীরা টাকা দিয়ে টোকেন নিয়ে কার্যালয় প্রাঙ্গণ ও ভবনের ভেতরে ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল রাখছেন। গাড়ির ধরন অনুযায়ী ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।
জানতে চাইলে মোহাম্মদ শাকিল বলেন, ‘এটা আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস ছিল। কিন্তু এটা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের নিজস্ব জমি। কিন্তু এখন আর পার্টি অফিস নাই। এখন এটা গ্যারেজ হয়েছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার মেলায় ১০০ থেকে ২০০ গাড়ি আসে। অন্যান্য দিনে ৩০ থেকে ৫০টি আসে।’ গ্যারেজের জন্য মেলা কর্তৃপক্ষকে টাকা দেওয়া হয় কি না, প্রশ্ন করলে তিনি কোনো উত্তর দিতে রাজি হননি।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর দুরমুঠ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। কার্যালয়ের আসবাব ও দরজা-জানালাও খোয়া যায়। এর পর থেকে কার্যালয়টি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। কার্যালয়ের সামনে হজরত শাহ কামালের (রহ.) মাজার। সম্প্রতি ওই মাজারের মেলা শুরু হয়েছে। এতে প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে আসা অনেক দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। মেলা উপলক্ষে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে দর্শনার্থীদের ইজিবাইক, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল রাখার গ্যারেজ বানানো হয়েছে। কার্যালয়ের সামনে গ্যারেজের একটি ফেস্টুনও টানানো হয়েছে।
দুরমুঠ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সৈয়দ রাশেদুজ্জামান মেলা কমিটির সভাপতি। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কার্যালয়টিকে স্থানীয় কয়েকজন মেলায় আসা দর্শনার্থীদের গাড়ির গ্যারেজ বানিয়েছেন। ওই গ্যারেজ বানানোর সঙ্গে মেলা কর্তৃপক্ষের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।