সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ থেকে জবাই করা একটি হরিণ উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা। গতকাল রোববার রাত ১০টা দিকে শ্যামনগর উপজেলার মীরগাং টহল ফাঁড়ির সদস্যরা তাঁদের অফিসের ৭০০ গজ দূর থেকে মৃত হরিণটি উদ্ধার করেন। এ সময় জব্দ করা হয়েছে হরিণ ধরার ২৭টি ফাঁদ।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ অফিসার হাবিবুল ইসলাম।
হাবিবুল ইসলাম বলেন, মীরগাং টহল ফাঁড়ির সদস্যরা রোববার রাত ১০টার ওই ফাঁড়ির আওতাধীন এলাকা থেকে জবাই করা একটি হরিণ উদ্ধার করেন। তাঁদের উপস্থিতি টের পেয়ে চার সদস্যের হরিণশিকারি চক্রটি পালিয়ে যায়। হরিণটি নিয়ে তাঁরা আজ সোমবার বিকেলের দিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি সাপেক্ষে আদালতের পুলিশ পরিদর্শক অফিসের সামনে মাটিতে পুঁতে ফেলেন।
হাবিবুল ইসলাম আরও বলেন, জবাই করা হরিণ উদ্ধার করে বন বিভাগের অফিসে নিয়ে আসার পর থেকে মীরগাং গ্রামের আনিছুর ও তাঁর সহযোগীরা বনকর্মীদের হুমকি দিচ্ছেন। বন বিভাগের অফিসে হামলাসহ এলাকায় কোনো টহল পরিচালনা করতে না দেওয়ার হুমকি দেন তাঁরা। চার দিন আগে সুন্দরবনের মধ্য থেকে আরও ৪০টি ফাঁদ উদ্ধারের পর একই চক্রের সদস্যরা স্থানীয় এক বন বিভাগের স্বেচ্ছাসেবক কর্মীকে মারধর করেছিলেন।
সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মশিউর রহমান বলেন, জবাইকৃত হরিণ উদ্ধারের ঘটনায় চারজনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেছেন মীরগাং টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া।
মীরগাং গ্রামের আনিছুর রহমান হরিণ শিকারের কথা অস্বীকার করে বলেন, তিনি সুন্দরবনে যাতায়াত করেন না। ফাঁদ ও হরিণ উদ্ধারের পর বনকর্মীদের হুমকি দেওয়াসহ এক সদস্যকে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্থানীয় প্রতিপক্ষরা তাঁর নাম জড়িয়েছে।