
গাজীপুরে অবস্থিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরও ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে আটজন উপরেজিস্ট্রার এবং একজন সহকারী রেজিস্ট্রার। আজ বুধবার বিকেলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ২৬৮তম সভা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম আমানুল্লাহর সভাপতিত্বে ধানমন্ডির নগর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্তি হওয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ৯ জন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করা হয়। তাঁদের মধ্যে উপরেজিস্ট্রার আটজন এবং একজন সহকারী রেজিস্ট্রার।
যাঁদের বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরেজিস্ট্রার শাহ আলম ঢালী, মোহসীন ইকবাল, প্রেমানন্দ শীল, মোহাম্মদ শামীম আলম মৃধা, মোছা. জিন্নাত আরা, অমিত কুমার দাম, মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান ও মো. মতিউর রহমান মোল্যা। এ ছাড়া সহকারী রেজিস্ট্রার হলেন এ কে এম বদরুল আলম।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২৫তম সিন্ডিকেট সভায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়ের (ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত), শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক, অধ্যাপক এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ উপাচার্য অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, সহ–উপাচার্য মো. নূরুল ইসলাম, ট্রেজারার এ টি এম জাফরুল আযম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. আমিনুল ইসলাম তালুকদার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, রেজিস্ট্রারসহ (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সিন্ডিকেটের অন্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন শিক্ষক ও ১৯ জন কর্মকর্তা।