
নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনায় গত শনিবার ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ পুলিশ সদস্য (নায়েক) সাইফুল ইসলামের (৩২) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার ২ নম্বর চানন্দী ইউনিয়নের দরবেশ বাজারের দক্ষিণে মেঘনা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এ নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় এক রোহিঙ্গা নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হলো। গতকাল রোববার লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপকূলে মেঘনা নদী থেকে নিখোঁজ রোহিঙ্গা নারী হাছিনা আক্তারের (২৫) লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। তবে তাঁর সঙ্গে থাকা আড়াই বছরের শিশুটির খোঁজ মেলেনি এখনো।
হাতিয়ার মোরশেদ বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মহি উদ্দিন নিখোঁজ পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলামের লাশ উদ্ধার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের দরবেশ বাজারের দক্ষিণে মেঘনার চরে একটি লাশ জোয়ারের পানিতে ভেসে এসে আটকে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে স্থানীয় এক ব্যক্তি লাশের পরনে পুলিশের পোশাক দেখে সেটির ছবি তুলে সেটি পুলিশ ক্যাম্পে পাঠান। এরপর তাঁরা গিয়ে ভেসে আসা লাশটি নিখোঁজ কনস্টেবল সাইফুলের বলে নিশ্চিত হন।
পরিদর্শক মো. মহি উদ্দিন জানান, নিহত সাইফুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলায়। আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে উদ্ধার করা লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার দুপুর সোয়া দুইটার দিকে হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের করিমবাজার ঘাটের কাছে মেঘনার ডুবো চরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একটি পণ্যবাহী ট্রলার ডুবে যায়। ট্রলারটি শনিবার সকালে চেয়ারম্যানঘাট থেকে পণ্য নিয়ে ভাসানচর গিয়েছিল। দুপুরে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ট্রলারে থাকা ৩৯ জন যাত্রী নদীতে পড়ে যান। পরে অন্য ট্রলারের সহায়তায় সন্ধ্যা পর্যন্ত একজন মৃতসহ ৩৬ জনকে উদ্ধার করা হয়। বাকি তিনজন নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজ তিনজনের মধ্যে গতকাল ও আজ দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি একজন শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছে।