নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক কুয়েত প্রবাসী নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি
নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক কুয়েত প্রবাসী নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি

রায়পুরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে কুয়েতপ্রবাসী যুবক নিহত

নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রবাসী এক যুবক নিহত হয়েছেন। কুয়েতপ্রবাসী ওই যুবক ১৫ দিন আগে ছুটিতে দেশে এসেছিলেন। এ ছাড়া আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে রায়পুরার চরাঞ্চল নিলক্ষার দড়িগাঁও এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম মামুন মিয়া (২৫)। রায়পুরা উপজেলার নিলক্ষা ইউনিয়নের দড়িগাঁও এলাকায় আবদুল আউয়ালের ছেলে তিনি। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার।

নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রয়াত ইউপি সদস্য শহীদের দলের সঙ্গে ফেলু মিয়ার দলের দ্বন্দ্ব চলছিল। আজ সকালে স্থানীয় বাজারে ফেলু মিয়ার মেয়ের জামাই মামুন মিয়ার সঙ্গে কথা–কাটাকাটি হয় প্রতিপক্ষের লোকজনের। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় তাঁদের মধ্যে হামলা ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে মামুন মিয়াসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।

আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া আউয়াল মিয়া ও পরশ মিয়া নামে গুলিবিদ্ধ দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সৈয়দা গুলশানারা কবীর বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজনকে আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’