
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জে আনন্দ পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রহমতখালী খালে পড়ে পাঁচজন যাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের কাছে রহমতখালী খালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পাঁচজন হলেন সদর উপজেলার শেখপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীন (৫৭), মোরশেদ আলম (৪০), মো. মাজেদ (৩০), মো. রিপন (৪০) ও নওগাঁর হুমায়ুন কবির। হুমায়ুন চন্দ্রগঞ্জের লতিফপুর এলাকায় ভাড়া থাকতেন এবং একটি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।
এক মাস আগে ৭ আগস্ট ভোরে একই খালে একটি মাইক্রোবাস ডুবে একই পরিবারের সাতজন প্রাণ হারান। এবারের ঘটনাস্থলের প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নোয়াখালীর চন্দ্রগঞ্জ পূর্ব বাজারে মাইক্রোবাসটি ডুবে গিয়েছিল।
পুলিশ ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা লক্ষ্মীপুরগামী যাত্রীবাহী বাসটি রহমতখালী খালে পড়ে ডুবে যায়। আশপাশের লোকজন নিজেদের মতো করে উদ্ধারকাজ চালান। ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করেন তাঁরা। প্রায় দুই ঘণ্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছান ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার তৎপরতা শুরু হতে প্রায় দুই ঘণ্টা দেরি হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। তাদের দাবি, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দেরিতে পৌঁছানোর কারণে ক্ষয়ক্ষতি আরও বেড়ে গেছে।
ঘটনার পর প্রায় এক ঘণ্টা লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে সড়কের দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফয়জুল আজীম নোমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কয়েকজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।