
আট দিন পর খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা উপজেলা থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। শনিবার রাত নয়টার দিকে জেলা প্রশাসকের ফেসবুক পেজে এ প্রত্যাহারে বিষয়টি জানানো হয়।
এরপর প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার। তিনি বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরামর্শে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার সকাল ছয়টা থেকে খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারা থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর বেলা দুইটায় জনসাধারণের জান ও মালের ক্ষতিসাধনের আশঙ্কায় খাগড়াছড়ি সদর ও পৌরসভায় ১৪৪ ধারা জারি করেন জেলা প্রশাসক।
এর আগে আজ শনিবার সকালে পুরোপুরি অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় জুম্ম ছাত্র-জনতা। জুম্ম ছাত্র-জনতার মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। পাশাপাশি সংগঠন থেকে আট দফা দাবিও তুলে ধরা হয়।
জুম্ম ছাত্র–জনতার সদস্য কৃপায়ন ত্রিপুরা বলেন, আট দফা দাবি মানা না হলে জুম্ম ছাত্র–জনতা পরবর্তী সময়ে আরও কঠোর আন্দোলনে যাবে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই দিন রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় একটি খেত থেকে তাকে উদ্ধার করেন স্বজনেরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শয়ন শীল নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর এর প্রতিবাদে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে গত ২৭ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে অবরোধ ডাকা হয়। পরদিন থেকে তিন পার্বত্য জেলায় অবরোধের ডাক দেয় সংগঠনটি।
অবরোধের মধ্যেই গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গুইমারার রামেসু বাজার। সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে অবরোধকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিতে তিনজন নিহত হন।