
গাজীপুর মহানগরের শিমুলতলীতে বাণিজ্য ও কুটিরশিল্প মেলায় এক ক্রেতাকে মারধরের জেরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হুড়োহুড়িতে মেলার অন্তত ২০ জন দর্শনার্থী আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর ওই মেলা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শিমুলতলীর আর্মি ফার্মা মাঠে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল রোববার দুপুরে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার ইসরাইল হাওলাদার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মেলা বন্ধের কথা জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মেলার ভেতরে দোকানে সিগারেটের বিক্রয়মূল্য নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি নেওয়া হয়। শনিবার রাত ১১টার দিকে মেলার একটি দোকানে সিগারেট ক্রেতা বাড়তি মূল্য দিতে অস্বীকার করায় দোকানদার ও মেলা কর্তৃপক্ষের লোকজন বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে ওই ক্রেতাকে মারধর করেন। এ খবর মেলার বাইরে স্থানীয়দের মাঝে ছড়ালে তাঁরা সংঘবদ্ধ হয়ে মেলায় হামলা করেন। হামলাকারীরা মেলার দোকান, লটারির প্যান্ডেল, মেলার অফিসসহ সব স্থাপনা ভেঙে দেয়। ভাঙচুরের সময় মেলার দর্শনার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে তাঁরা হুড়োহুড়ি করে মেলা প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন। এ সময় অন্তত ২০ জন আহত হন।
স্থানীয় চক্ষু হাসপাতাল এলাকার বাসিন্দা প্রত্যক্ষদর্শী কিশোর সুমন মিয়া জানায়, মূলত সিগারেটের দাম বেশি নেওয়াকে কেন্দ্র করে এক ক্রেতাকে মারধর করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে এ হামলা চালায়। হামলার সময় মেলার লোকজন পালিয়ে যান। হামলাকারীরা ভাঙচুর করে ওই এলাকা ছেড়ে যায়।
খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে মেলা কর্তৃপক্ষের দ্বন্দ্ব হয়। একপর্যায়ে মেলায় হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় দুই মাসব্যাপী চলমান এই মেলা নিয়ে শুরু থেকেই স্থানীয়দের আপত্তি ছিল। সেখানে লটারি–বাণিজ্য চলত। সেই আপত্তি উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন ধরে মেলা চলছিল। এতে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বাড়ে। একপর্যায়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে।