নেত্রকোনায় নিখোঁজ দাদি-নাতনির লাশ নদী থেকে উদ্ধার

এআইয়ের সহায়তা নিয়ে বানানো ছবি

নেত্রকোনার পূর্বধলায় আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হওয়া দাদি ফাতেমা বেগম (৬৫) ও নাতনি লিজা আক্তারের (৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার পুলিশ উপজেলার শিমুলকান্দি এলাকার মগড়া নদীতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।

পুলিশের ধারণা, হেঁটে নদী পাড় হতে গিয়ে দুজন পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়। তাদের বাড়ি শিমুলকান্দি বহেরাকান্দা গ্রামে।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ফাতেমা বেগম তাঁর নাতনিকে নিয়ে মেয়ে দেলোয়ারা বেগমের শ্বশুরবাড়ি উপজেলার নারায়ণডহর গ্রামে হেঁটে রওনা হন। নিজ বাড়ি থেকে গন্তব্যস্থলের দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও তাঁরা গন্তব্যে না পৌঁছানোয় রাত ৯টার দিকে দেলোয়ারা তাঁর ভাই লিটন মিয়াকে ফোনে বিষয়টি জানান। পরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। আজ ভোরে শিমুলকান্দি এলাকায় মগড়া নদীতে ফাতেমা বেগমের মরদেহ পানিতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। কিন্তু লিজার সন্ধান না পেয়ে নদীতে জাল ফেলে তল্লাশি চালানো হয়। একপর্যায়ে লিজার মরদেহও উদ্ধার করা হয়।

দাদি-নাতির এক সঙ্গে মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছাড়া নেমে এসেছে। শিমুলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা নুর মিয়া বলেন, বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক।
লিজার বাবা লিটন মিয়া বলেন, মনে হয় নদী পাড় হতে গিয়ে পা পিছলে মেয়ে লিজা ডুবে যায়। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে মা ডুবে মারা যান।

এ বিষয়ে পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুল আলম বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহের সুরতহাল করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নদী পার হওয়ার সময় কোনোভাবে ভারসাম্য হারিয়ে পানিতে পড়ে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। মৃত্যু নিয়ে অভিযোগ না থাকায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।