চট্টগ্রামের রাউজান থেকে আবারও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুই ভাইসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়
চট্টগ্রামের রাউজান থেকে আবারও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুই ভাইসহ  তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  আজ দুপুরে  জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়

রাউজানের নোয়াপাড়ায় আবারও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার , দুই ভাইসহ গ্রেপ্তার ৩

চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নে থেকে আবারও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ইউনিয়নের চৌধুরীহাট এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে দুজন আপন ভাই। আর আরেকজন এক ভাইয়ের শ্বশুর। তাঁরা হলেন একই এলাকার মোহাম্মদ হাবিবের ছেলে মো. রানা (২৬) ও মো. সাকিবুল ইসলাম (২২) । আর একই এলাকার অলি আহমদের ছেলে জহির আহাম্মদ (৫২)। জহির আহাম্মদ সম্পর্কে সাকিবুলের শ্বশুর।

আজ বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানানো হয়। নগরের জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। পুলিশ জানায় অভিযানে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি একনলা বন্দুক ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা এলাকায় নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তাঁদের আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জানতে চাইলে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলি গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্যে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি করে পাওয়া গেছে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দমনে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

রাউজানের নোয়াপাড়ায় অভিযানে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা প্রথম নয়। এর আগে চলতি মাসের ৭ নভেম্বর একই ইউনিয়নের চৌধুরীহাট বাজারসংলগ্ন আইয়ুব আলী সওদাগরের বাড়ির পেছনের পুকুর সেচে পুকুর সেচে একটি চায়নিজ রাইফেল, একটি শটগান ও সাতটি গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, উদ্ধার হওয়া এসব অস্ত্র-গুলি গত বছরের ৫ আগস্ট থানা থেকে লুট হয়েছিল।

সর্বশেষ গত সোমবার একই ইউনিয়নের পলোয়ান পাড়া গ্রাম থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, চারটি এলজি, একটি রাইফেল, ১১টি গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আলম (৪৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া এসব অস্ত্রের মধ্যে বিদেশি পিস্তল, রাইফেল ও ৮টি গুলি পুকুর সেচে উদ্ধার করা হয়। আর বাকি অস্ত্র উদ্ধার হয় ঘরে লুকিয়ে রাখা অবস্থায়।