ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় নিখোঁজের চার দিন পর এক শিশুর লাশ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পাঁচবাগ ইউনিয়নের দিঘিরপাড় গ্রামে স্বজনেরা বাড়ি থেকে দেড় শ গজ দূরের একটি পুকুরে ওই শিশুর লাশ পান।
নিহত শিশুর নাম সাদাব হোসেন (৫)। সে নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের বারঘরিয়া গ্রামের সৌদিপ্রবাসী আল আমিনের ছেলে। শিশুটি মায়ের সঙ্গে গফরগাঁওয়ের পাঁচবাগ ইউনিয়নের দিঘিরপাড় গ্রামে নানাবাড়িতে থাকত। ১১ জুলাই দুপুরে নিখোঁজ হয় সে। নিখোঁজের ঘটনায় সাদাবের নানা সুলতান মিয়া পাগলা থানায় একটি জিডি করেন।
এদিকে ১২ জুলাই দুপুর ১২টার দিকে মুঠোফোনের দুটি নম্বর থেকে ৩০ হাজার ও ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয় শিশুটির স্বজনদের কাছে। দুটি নম্বরের একটিতে ২০ হাজার ও অপর দিকে ৮ হাজার টাকা পাঠানো হয়। শিশুটির নানা সুলতান মিয়া বলেন, ‘ফোন করে বলা হয়েছিল, “ছেলে ভালো আছে, টেনশন কইরেন না। টাকা পাঠালে আধা ঘণ্টার মধ্যে ফেরত দিয়া যাব।” কিন্তু গফরগাঁও রেলস্টেশনে গিয়ে আমরা অপেক্ষা করলেও ফোন নম্বরগুলো বন্ধ পাই।’
শিশুটির মামা খলিল মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে আমাদের বাড়ি থেকে দেড় শ গজ দূরে এক প্রতিবেশী পুকুরপাড়ে ঘাস কাটতে গিয়ে দুর্গন্ধের খোঁজ করতে গিয়ে ভাগনের লাশ দেখতে পাই। আমার ভাগনে পুকুরে পড়ে মরল, না কেউ তাকে মেরে ফেলে রাখল, বুঝতে পারছি না।’
মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হচ্ছে জানিয়ে পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, ওই ঘটনায় মুক্তিপণ নেওয়া চক্রের সদস্যদের বাড়ি গাইবান্ধা জেলায়। প্রতারণার জন্য তারা টাকা নিয়েছিল। প্রতারক চক্রের বিষয়টি নজরদারিতে রাখছেন বলে জানান ওসি।