রাকসু নির্বাচন

এক প্রার্থীর প্রচারণায় মা, নির্বাচন কমিশন বলল, আচরণবিধির লঙ্ঘন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রচারণায় ছেলের জন্য ভোট চাইছেন মা ফেন্সি বেগম। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে
ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নানা কৌশল বেছে নিচ্ছেন প্রার্থীরা। এর অংশ হিসেবে এবার ছাত্রদল–সমর্থিত এক প্রার্থীর প্রচারণায় নেমেছেন তাঁর মা। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা প্রচার চালিয়েছেন। ফেসবুকেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন বলছে, প্রার্থীর প্রচারণায় যদি তাঁর মা অংশ নেন, তাহলে সেটি আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল।

ছাত্রদল–সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের সহ–মিডিয়া ও প্রকাশনাবিষয়ক পদপ্রার্থী নূর নবীর পক্ষে প্রচারণায় নেমেছিলেন তাঁর মা। নূর নবী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সহদপ্তর সম্পাদক।

রাকসুর নির্বাচনী আচরণবিধির ধারা ৪–এর গ–এ বলা হয়েছে, রাকসু হল সংসদ ও সিনেট নির্বাচনে পাঁচ ছাত্র প্রতিনিধি, নির্বাচনের প্রার্থী ও ভোটার ব্যতীত অন্য কেউ প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রচার চালাতে পারবেন না।

আজ সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট, টুকিটাকি চত্বর ও সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের সামনেসহ বিভিন্ন স্থানে নূর নবীর সঙ্গে তাঁর মাকে দেখা যায়। এ সময় তাঁর মাকে শিক্ষার্থীদের কাছে ছেলের হয়ে দোয়া চাইতে ও প্রচারপত্র বিলি করতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি। ওই প্রার্থীর পক্ষে যদি তাঁর মা ভোট চেয়ে থাকেন, তাহলে সেটি আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল হবে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রার্থী নূর নবী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার মা ক্যাম্পাসে ঘুরতে এসেছেন। তিনি কারও কাছে ভোট চাননি। তবে শিক্ষার্থীদের কাছে দোয়া চেয়ে লিফলেট বিতরণ করেছেন। শিক্ষার্থীরাও বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করেছেন। কেউ খারাপ কিছু বলেননি। আমার মা আমার পাশে আছেন, এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া। জয়–পরাজয় শিক্ষার্থীরাই নির্ধারণ করবেন।’

ছেলের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মা ফেন্সি বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে, তাই ঘুরতে এসেছি। ছাত্রছাত্রীরা যেন তার পাশে থাকে, সবার প্রতি এটাই চাওয়া।’