কুমিল্লায় সৎমাকে কুপিয়ে হত্যা, ছেলে পলাতক

কুমিল্লার চান্দিনায় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাঁর সৎমাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার রাত সোয়া ১১টার দিকে উপজেলার সব্দলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত হালিমা খাতুন (৩৪) চান্দিনা উপজেলার বাতাঘাসী ইউনিয়নের সব্দলপুর গ্রামের এমদাদুল হক মুন্সির (৭৫) দ্বিতীয় স্ত্রী। অভিযুক্ত শাহিন মুন্সি (২৮) এমদাদুল হক মুন্সির প্রথম স্ত্রীর চতুর্থ ছেলে।

আজ বৃহস্পতিবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হালিমা খাতুনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আজ দুপুরে চান্দিনা থানায় অভিযুক্ত শাহিন মুন্সির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন হালিমা খাতুনের ভাই নূরুল ইসলাম, তবে শাহিন মুন্সি ঘটনার পর থেকে পলাতক।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এমদাদুল হক মুন্সির প্রথম স্ত্রী মারা যান প্রায় তিন বছর আগে। তাঁর চার ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে। ছেলেমেয়েরা বিবাহিত। চার ছেলে সৌদিপ্রবাসী। ছোট ছেলে শাহিন মুন্সি প্রায় আট মাস আগে দেশে ফেরেন। দুই মাস আগে এমদাদুল হক দাউদকান্দি উপজেলার জয়নগর গ্রামের হালিমা খাতুনকে বিয়ে করেন।

এমদাদুল হক মুন্সি বলেন, গতকাল রাত ১১টার দিকে তিনি শৌচাগারে যান। তখন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী ঘুমিয়ে ছিলেন, পাশের ঘরে ছোট ছেলে শাহিন ছিলেন। ঘরে ফিরে দেখেন, স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় কাতরাচ্ছেন। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তাঁর চিৎকারে পুত্রবধূসহ আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। পরে কুমিল্লা মেডিকেলে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।

এমদাদুল হকের তৃতীয় ছেলে আবু হানিফের (৩২) স্ত্রী শিরিনা আক্তার বলেন, ‘ঘটনার সময় আমরা অন্য ঘরে ঘুমাচ্ছিলাম। শ্বশুরের চিৎকার শুনে ছুটে এসে দেখি, শাহিন ঘর থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন। শ্বশুর কান্নাকাটি করছেন। সৎশাশুড়ি তখন রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে ছিলেন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়।’

স্থানীয় বাতাঘাসী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান সিরাজ জানান, এমদাদুল হক মুন্সি তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। তাঁর দ্বিতীয় বিয়েতে পরিবারের কারও আপত্তি ছিল না। কী কারণে শাহিন সৎমাকে হত্যা করেছেন, তা কেউ বলতে পারছেন না। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।

চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাবেদ উল ইসলাম বলেন, ওই নারীকে হত্যার ঘটনায় তাঁর ভাই থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলার একমাত্র আসামি শাহিন মুন্সি পলাতক। তাঁকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।