পটুয়াখালীতে জুলাই শহীদের মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় আরও এক আসামি গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে পটুয়াখালীর এক শহীদের মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে বরিশাল জেলার বিমানবন্দর থানা এলাকা থেকে ১৭ বছর বয়সী ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে তার ফুফার বাড়িতে আত্মগোপনে ছিল।

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সাজেদুল ইসলাম (সজল) বলেন, আজ রাতেই আসামিকে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে।

এর আগে মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বয়স যথাক্রমে ১৫ ও ১৭ বছর। ওই দুই আসামি বতর্মানে যশোর শিশু সংশোধনাগারে আছে। মামলায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। ৬ মে এই তিন কিশোরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুমকি থানা-পুলিশের পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৮ মার্চ পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার একটি গ্রামের কলেজপড়ুয়া এক তরুণী তাঁর শহীদ বাবার কবর জিয়ারত করে পাশের গ্রামে নানা বাড়ি ফিরছিলেন। পথে কয়েকজন মিলে ওই তরুণীর মুখ চেপে নির্জনে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। এ সময় মুঠোফোনে দৃশ্য ধারণ করা হয়। মুখ বন্ধ রাখতে ওই তরুণীকে ভয়ভীতি দেখায় জড়িতরা। এ ঘটনায় ১৯ মার্চ রাতে ওই তরুণী নিজেই বাদী হয়ে দুমকি থানায় মামলা করেন। পরে পৃথক অভিযানে একই গ্রামের দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ওই মামলায় এজাহার ব্যতীত ১৭ বছরের এক কিশোরকে আজ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তকালে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তাই তাকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এই কিশোর আত্মগোপনে চলে যায়, এ কারণে তাকে আইনের আওতায় আনতে খানিকটা বিলম্ব হয়েছে।

মামলার তদন্ত চলাকালে ২৬ এপ্রিল রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার ভাড়া বাসা থেকে ওই তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর বাবা গণ–অভ্যুত্থানে ১৯ জুলাই ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।