গাজীপুরে ছাত্র–জনতার ওপর হামলার প্রতিবাদে মিছিল ও সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতা। আজ বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে
গাজীপুরে ছাত্র–জনতার ওপর হামলার প্রতিবাদে মিছিল ও সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতা। আজ বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে

গাজীপুরে হামলার প্রতিবাদ

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ ঘিরে যা যা ঘটল

গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদ ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ’ শিরোনামে আয়োজিত এই কর্মসূচি শুরু হয় বিকেল চারটার দিকে। সমাবেশের পাশাপাশি বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্ররা। এ সময় হঠাৎ ঘোষণা দিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গায়েবানা জানাজাও পড়া হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এখনো ছাত্রদের ওপর হামলা করছে। ছয় মাস পরও আওয়ামী লীগের বিচারে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই। ছাত্র-জনতার জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে না। হাতিয়া, গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা হয়েছে। প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।  

ছাত্রদের এ কর্মসূচির সময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম প্রেসক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন। এ সময় তাঁর গাড়ি ছাত্রদের বিক্ষোভ মিছিলের কারণে রাস্তায় আটকে যায়। যদিও এর আগেই তিনি হেঁটে প্রেসক্লাবে প্রবেশ করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি শেষে গাড়িটি প্রেসক্লাবের সামনে আনা হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য রাসেল

সরেজমিনে দেখা যায়, অর্ধশতাধিক ছাত্র-জনতা প্রেসক্লাবের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁদের সামনে ছিল একটি গুটিয়ে রাখা ব্যানার। সেটি সামনে রেখে প্রতীকী কর্মসূচি পালন করেন ছাত্ররা। এ সময় সড়কের এক পাশে যান চলাচল সাময়িক বন্ধ ছিল। পুলিশের একটি দলও সেখানে উপস্থিত ছিল।

বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের কোনো সুযোগ নেই। পালিয়ে যাওয়ার পরও তারা ভারতে বসে ছাত্রদের ওপর গুম, খুন, হামলার নির্দেশ দিচ্ছে। ছাত্রদের ওপর হাতিয়া ও গাজীপুরে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। ভারতে বসে এ দেশকে অশান্ত করার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে তাদের অবস্থান সম্পর্কে স্পষ্ট করতে হবে।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য রাসেল আহমেদ বলেন, অভ্যুত্থানের ছয় মাস পরও শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের লোকজনের বিচারে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ তাঁরা দেখেননি। হামলা ও হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ সবার বিচার করতে হবে। ছাত্র-জনতার জানমালের নিরাপত্তা দিতে হবে।