
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, বিএনপির গত ১৭ বছরের লাগাতার আন্দোলন-সংগ্রামে লাখ লাখ নেতা-কর্মীকে বিনা অপরাধে মাসের পর মাস জেলখানায় কাটাতে হয়েছে। খুন-গুম, হামলা-মামলা, নির্যাতন-নিপীড়নে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার সর্বকালের বর্বরোচিত ইতিহাস গড়েছিল। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে মাফিয়া শেখ হাসিনা সরকার পালিয়ে গেছে নয় মাসের অধিক। এখনো গণতন্ত্র ফিরে আসেনি।
আজ শুক্রবার দুপুরে খুলনা জেলা বিএনপির ‘তারুণ্যের সমাবেশ’-এর প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজিজুল বারী এ কথা বলেন। খুলনা নগরের কে ডি ঘোষ রোডের বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এই সভা হয়। খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানে আগামীকাল শনিবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশ হবে। এর আগে গত সপ্তাহে চট্টগ্রামে তারুণ্যের সমাবেশ হয়।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী বলেন, এবার তরুণ প্রজন্মের ভোটবিপ্লবের মাধ্যমে তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। এর মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে। সে কারণেই খুলনা-বরিশাল বিভাগীয় তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার সমাবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সমাবেশ সর্বাত্মকভাবে সফলে সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও সমর্থককে উদাত্ত আহ্বান জানান তিনি।
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু। এতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি, নয়টি উপজেলা ও দুটি পৌরসভা বিএনপির শীর্ষ নেতা এবং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বা আহ্বায়ক এবং সাধারণ সম্পাদক বা সদস্যসচিবেরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রস্তুতি সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম, খান জুলফিকার আলী, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, মো. তৈয়েবুর রহমান, এস এম শামীম কবির, গাজী তফসির আহমেদ, জি এম কামরুজ্জামান, মনিরুল হক, এনামুল হক, জেলা বিএনপির সদস্য চৌধুরী কাওসার আলী, মোল্লা মাহবুবর রহমান, শাকিল আহমেদ, মো. হাফিজুর রহমান, মল্লিক আবদুস সালাম, মনির হাসান, আশরাফুল ইসলাম, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইবাদুল হক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. আতাউর রহমান ও সদস্যসচিব আবদুল মান্নান, পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আবদুল মজিদ, জেলা ছাত্রদলের নেতা গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।