স্কপের লাল পতাকা মিছিল। আজ সকালে চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ান হাট এলাকায়
স্কপের লাল পতাকা মিছিল। আজ সকালে চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ান হাট এলাকায়

চট্টগ্রাম বন্দরে চাঁদাবাজি নিয়ে নৌ উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি

চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারার প্রতিবাদে লাল পতাকা মিছিল ও সমাবেশ করেছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) চট্টগ্রাম। আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ান হাট মোড়ে সমাবেশ করেন স্কপের নেতা-কর্মীরা। পরে সেখান থেকে আগ্রাবাদ মোড় এলাকা পর্যন্ত লাল পতাকা মিছিল করা হয়।

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ এবং লালদিয়ার চর ও পানগাঁও টার্মিনাল ইজারা দেওয়ার চুক্তি বাতিলের দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছে শ্রমিক সংগঠনগুলো। আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই লাল পতাকা মিছিল ও সমাবেশ করেছে স্কপ৷

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি) জেলা কমিটির সভাপতি তপন দত্ত, যুগ্ম সম্পাদক ইফতেখার কামাল খান; বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস কে খোদা তোতন প্রমুখ।

সমাবেশে কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার বলেন, ‘উপদেষ্টা বলেন, বন্দরে চাঁদাবাজি হয়। এ ধরনের বক্তব্য তিনি কিসের ভিত্তিতে দেন জানা নেই। উপদেষ্টাকে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে।’

এর আগে গত সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন অবৈধভাবে দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার চাঁদা তোলা হয়। তাঁর ভাষায়, বন্দরের প্রায় প্রতিটি জায়গাতেই চাঁদাবাজি চলে। ট্রাক ভেতরে ঢুকলে দিনের পর দিন আটকে রাখা হয়; বাইরে গেলেও চাঁদা দিতে হয়।

স্কপের সমাবেশে নেতা-কর্মীরা নৌ উপদেষ্টার এই বক্তব্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বক্তারা বলেন, বন্দর জনগণের সম্পত্তি। এটি বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। উপদেষ্টাকে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে হবে। লালদিয়া ও পানগাঁও টার্মিনালের ইজারা চুক্তি বাতিল করতে হবে। না হয় আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে আগ্রাবাদ মোড়ে কর্মসূচি শেষ করেন নেতা-কর্মীরা। ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আজাদ বলেন, বন্দর এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ। তাই নেতা-কর্মীদের আগ্রাবাদ মোড়ে কর্মসূচি শেষ করতে বলা হয়। তাঁরা সেখানে কর্মসূচি শেষ করে চলে গেছেন।