বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বরিশালের অভ্যন্তরীণ নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করার পর ঢাকা-বরিশাল নৌপথেও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক এবং বরিশাল নদীবন্দরের কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম রেজা বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপে বৈরী আবহাওয়ায় নৌবন্দরে দুই নম্বর সতর্কসংকেত জারি করায় বরিশালের অভ্যন্তরীণ ১০টি রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বিকেলে ঢাকা-বরিশাল নৌপথের লঞ্চ চলাচলও বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি বৃহস্পতিবার দুপুরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ওপর দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে বরিশালসহ দক্ষিণ উপকূলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। নিম্নচাপের কারণে বরিশালসহ দক্ষিণের পায়রা, বিষখালী, বলেশ্বর, কীর্তনখোলা, তেঁতুলিয়াসহ প্রধান নদ-নদীতে প্রবল জলোচ্ছ্বাস হয়। কোনো কোনো নদীর জোয়ার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে নিম্নাঞ্চল ও চরগুলো নিমজ্জিত হয়ে বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
বরিশাল আবহাওয়া কার্যালয় বলছে, গতকাল বেলা তিনটা থেকে আজ বেলা তিনটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে ৭০ দশমিক ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। নিম্নচাপের কারণে দেশের নদীবন্দরে দুই নম্বর এবং সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত বহাল রাখা হয়েছে।
এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে প্রবল বর্ষণে বরিশাল নগরের স্বাভাবিক জনজীবন বিঘ্নিত হয়েছে। সকাল থেকেই নগরে রাস্তাঘাট ছিল প্রায় ফাঁকা। যান চলাচল ছিল সীমিত। এতে ভোগান্তিতে পড়েন শ্রমজীবী মানুষ। বেশির ভাগ স্কুল-কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল খুবই কম।
আবহাওয়া কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।