
পটুয়াখালীর এক বিচারকের বাসায় টাকার ব্যাগ পাঠানোর অভিযোগে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রুহুল আমিনের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। গতকাল রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের আইন, বিচার ও সংসদ মন্ত্রণালয়ের (জিপি, পিপি) শাখার উপসলিসিটর সানা মো. মাহ্রুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত একটি আদেশে তাঁর পিপি পদটি বাতিল করা হয়।
গত বছরের ১৩ নভেম্বর জিপি, পিপি, অতিরিক্ত এবং সহকারী পিপি হিসেবে জেলায় ৭৮ জন আইনজীবীকে নিয়োগ দেয় আইন মন্ত্রণালয়ের আইন, বিচার ও সংসদ মন্ত্রণালয়। ওই নিয়োগে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে নিয়োগ পান আইনজীবী রুহুল আমিন সিকদার।
গত বুধবার পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জ্যেষ্ঠ জেলা জজ) নীলুফার শিরিন পিপি রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে ‘ঘুষ সাধার’ অভিযোগ আনেন। ঢাকায় বার কাউন্সিলের সচিবের কাছে এ বিষয়ে চিঠির মাধ্যমে অভিযোগ পাঠান তিনি।
লিখিত অভিযোগে বিচারক বলেন, বুধবার সকাল ৯টার দিকে তাঁর বাসার গৃহকর্মীর কাছে একটি লাল ব্যাগ দিয়ে যান রুহুল আমিনের একজন লোক। ওই ব্যক্তি ব্যাগটি তাঁকে (বিচারক) দিতে বলে যান। ব্যাগটি খোলার পর ভেতরে দুটি খাকি রঙের খাম পাওয়া যায়। একটিতে একটি মামলার যাবতীয় কাগজপত্র, অন্য খামে ৫০০ টাকার নোটের একটি বান্ডিল। তিনি টাকা গুনে দেখেননি। তবে অনুমানের ভিত্তিতে বোঝা যায়, এতে ৫০ হাজার টাকা আছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে রুহুল আমিন বলেন, তিনি পিপি হওয়ার পর থেকেই একটি মহল তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। যে কারণে তিনি বেশ কয়েকবার হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। তাঁরাই ঘুষ নাটক সাজিয়ে তাঁকে বিপদে ফেলেছেন।
বিচারকের বাসায় টাকার ব্যাগ পাঠানোর অভিযোগের পর ২৩ আগস্ট একই অভিযোগে তাঁর আইনজীবী সনদ স্থগিতের আদেশ দেন ঢাকা বার কাউন্সিলের সচিব (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ কামাল হোসেন সিকদার। এ ছাড়া জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য পদটি স্থগিত করা হয়। আর জেলা আইনজীবী সমিতির জামায়াত ইউনিট থেকে তাঁর সদস্য পদ স্থগিত করে জেলা জামায়াতে ইসলামী।