Thank you for trying Sticky AMP!!

সাতক্ষীরায় ঘুষিতে যাত্রীকে হত্যার অভিযোগে নীলফামারী থেকে ভ্যানচালক গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার

সাতক্ষীরায় ঘুষি দিয়ে যাত্রীকে হত্যার অভিযোগে ভ্যানচালক মিন্টু সরদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার তিন দিন পর আজ বৃহস্পতিবার ভোর চারটার দিকে নীলফামারী জেলা থেকে অভিযুক্ত মিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসার পর সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মিন্টু সরদারের বাড়ি সাতক্ষীরা সদরের বল্লী ইউনিয়নের মোচড়া গ্রামে। গত রোববার রাতে মোচড়া মোড়ে ভাড়া নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ভ্যানচালক মিন্টু সরদার যাত্রী মোমরেজুল ইসলামকে ঘুষি মারেন। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। মোমরেজুল ইসলামও (৬৫) মোচড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

Also Read: ভাড়া নিয়ে কথা–কাটাকাটি, ভ্যানচালকের ‘ঘুষিতে’ চিংড়িচাষির মৃত্যু

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জিহাদ মো. ফখরুল আলম খান বলেন, এ ঘটনায় নিহত মোমরেজুল ইসলামের ছেলে রাশেদুল ইসলাম সোমবার রাতে ভ্যানচালক মিন্টু সরদারের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। এর পর থেকে মিন্টুকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ তৎপরতা চালাতে থাকে। আজ বৃহস্পতিবার ভোর চারটার দিকে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার সোনারাই গ্রামের এক বাড়ি থেকে মিন্টুকে গ্রেপ্তার করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক হাসানুজ্জামান। তাঁকে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসার পর আজ বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।

মোমরেজুল ইসলাম পেশায় একজন চিংড়িচাষি ছিলেন। তাঁর ছেলে রাশেদুল ইসলাম জানান, রোববার রাত আটটার দিকে তাঁর বাবাসহ চারজন যাত্রী মিন্টু সরদারের ভ্যানে করে মোচড়া গ্রাম থেকে মোচড়া মোড়ে আসেন। মিন্টু ৫ টাকার পরিবর্তে ১০ চাইলে তাঁর বাবা রাজি হননি। এ নিয়ে দুজনের কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে মিন্টু চাবি হাতের মুঠোর মধ্যে ঢুকিয়ে বাবার মাথায় ও মুখে এলোপাতাড়ি ঘুষি মারেন। এতে রক্তাক্ত হয়ে তিনি সড়কের ওপর পড়ে যান। এ সময় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসক বাবলুর রহমান ও পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।