কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের ঘটনায় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থীকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার ও আজীবন হল থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আরও ১৭ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর পাশাপাশি মুচলেকা দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সাবেক ছাত্র উপদেষ্টাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যসচিব ও প্রক্টর অধ্যাপক মো. আবদুল হাকিম। বহিষ্কৃত দুই শিক্ষার্থী হলেন লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আরাফাত ও রিফা সানজিদা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত ২-১৫ জুলাই পর্যন্ত লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বারা নবীন শিক্ষার্থীরা র্যাগিংয়ের শিকার হন। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই এসব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আজ বিকেলে এ প্রসঙ্গে জানতে লোকপ্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মোসা. শামসুন্নাহারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা ও সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহিন উদ্দিন। আজ বিকেলে তিনি বলেন, ‘শোকজের বিষয়টি আমি দেখেছি। আমি বর্তমানে দায়িত্বে নেই। দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পরেও এমন সিদ্ধান্ত আমার জন্য অপমানজনক। আমরা শোকজের জবাব দেব। আমি ও বিভাগের চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালনে কোনো অবহেলা করিনি। নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. আবদুল হাকিম বলেন, ‘তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই সুপারিশ করা হয়েছে। র্যাগিং একটি বিকৃত মানসিকতার কাজ। র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে আমরা কাজ করছি। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনোভাবেই র্যাগিং চলতে দেওয়া হবে না।’