শৌখিন মৎস্যশিকারি কামরুজ্জামান ৯ কেজি ওজনের এই কাতলা মাছ ধরে আড়াই লাখ টাকা পুরস্কার পেয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় সরাইলের কালীকচ্ছ ইউনিয়নের বিরেশ দিঘিতে
শৌখিন মৎস্যশিকারি কামরুজ্জামান ৯ কেজি ওজনের এই কাতলা মাছ ধরে আড়াই লাখ টাকা পুরস্কার পেয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় সরাইলের কালীকচ্ছ ইউনিয়নের বিরেশ দিঘিতে

৯ কেজির কাতলা ধরে পুরস্কার পেলেন আড়াই লাখ টাকা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে শৌখিন মৎস্যশিকার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ২৭ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কাটেন কামরুজ্জামান (৪২) নামের হবিগঞ্জের এক মৎস্যশিকারি। শুক্রবার সকালে বড়শি পেতে বেলা একটার দিকে তিনি ৯ কেজি ১০৫ গ্রাম ওজনের একটি কাতলা মাছ ধরেন। সেই কাতলা ধরে তিনি প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন। পুরস্কার হিসেবে জিতে নিয়েছেন আড়াই লাখ টাকা।

সরাইলের কালীকচ্ছ ইউনিয়নের কলেজপাড়ার বিরেশ দিঘিতে আজ সকাল ছয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বড়শি (ছিপ) দিয়ে মাছ ধরার এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পৌনে তিন একরের দিঘিটির মালিক কালীকচ্ছ ইউনিয়নের কলেজপাড়ার প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর পরিবার। তাঁদের কাছ থেকে দিঘিটি ৯০ লাখ টাকায় বন্ধক নিয়েছে ‘সরাইল মৎস্যচাষ প্রকল্প’ নামের একটি সমিতি। তারা দিঘিটিতে প্রতিবছর কয়েকবার মৎস্যশিকার প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

সরাইল মৎস্যচাষ প্রকল্পের সভাপতি আলী মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, এখানে প্রতিবছর এ ধরনের আয়োজন করা হয়। চলতি বছরে এটি চতুর্থ আয়োজন। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শৌখিন মৎস্যশিকারিরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।

আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও ঢাকা, নরসিংদী, গাজীপুর ও হবিগঞ্জ থেকে আসা ৩৪ জন মৎস্যশিকারি প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এতে অংশ নিতে তাঁদের প্রত্যেককে ২৭ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হয়েছে। পরে লটারির মাধ্যমে তাঁদের আসন নির্ধারণ করা হয়।

সরাইলের কালীকচ্ছ ইউনিয়নের কলেজপাড়ার বিরেশ দিঘিতে আজ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বড়শি (ছিপ) দিয়ে মাছ ধরার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়

প্রতিযোগীদের জন্য মোট ৬ লাখ ১৫ হাজার টাকার সাতটি পুরস্কার ছিল। এর মধ্যে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলার কামরুজ্জামান ৯ কেজি ১০৫ গ্রাম ওজনের একটি কাতলা মাছ ধরে প্রথম হয়েছেন। তিনি পুরস্কার হিসেবে আড়াই লাখ টাকা পেয়েছেন। এ ছাড়া সরাইল উপজেলা সদরের হাবলীপাড়ার দেওয়ান রুবেল ছয় কেজি ২৪৫ গ্রাম ওজনের রুই মাছ ধরে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন এবং কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সোহাগ মিয়া ৫ কেজি ৭৮৫ গ্রাম ওজনের রুই মাছ ধরে তৃতীয় হয়ে ৭০ হাজার টাকা পুরস্কার পান।

প্রতিযোগিতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মেড্ডা এলাকার বাকের মোশাররফ ৫ কেজি ৫৯৫ গ্রাম ওজনের কাতলা মাছ শিকার করে ৫০ হাজার, সরাইল উপজেলা সদরের বড় দেওয়ানপাড়ার আলমগীর মোল্লা ৪ কেজি ৭০৫ গ্রাম ওজনের কাতলা ধরে ৪৫ হাজার, সরাইল উপজেলা সদরের পাঠানপাড়ার চান খাঁ ৪ কেজি ৩৮৫ গ্রাম ওজনের কাতলা ধরে ৪০ হাজার, উচালিয়পাড়া গ্রামের আবদুল কাদির ৩ কেজি ৯০০ গ্রাম ওজনের কাতলা ধরে ৩৫ হাজার টাকা পেয়েছেন।

প্রথম পুরস্কার পাওয়া কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ বড় একটি কাতলা মাছ শিকার করে প্রথম পুরস্কার পেয়েছি। আজ আর তেমন মাছ শিকার করতে পারিনি। ভালোই লাগছে। মাছটি বিক্রি করলে প্রায় ১০ হাজার টাকা পাব। তবে বিক্রি করব না।’