
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় পলমল গ্রুপের একটি তৈরি পোশাক কারখানার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট কাজ শুরু করে। পর বেলা ৩ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
কারখানার কয়েকজন শ্রমিক বলেন, পলমল গ্রুপের তৈরি পোশাক কারখানা আয়েশা ক্লথিংয়ের দ্বিতীয় তলার গুদামের অংশে আজ সোমবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আগুন দেখতে পান শ্রমিকেরা। পরে তাঁরা দ্রুত বের হয়ে ওই ভবনের অন্যান্য তলার শ্রমিকদের বিষয়টি জানান। তাঁরাও দ্রুত কারখানা থেকে বের হয়ে যান। শ্রমিকেরা ফায়ার সার্ভিসকে বিষয়টি জানান এবং নিজেরাই পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ডিইপিজেড) ও জিরাবো ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে।
বিজলী নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘সকাল থেকে কাজ করতেছিলাম। বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে কারখানার এক ভাই এসে বলে, কারখানায় আগুন লাগছে। পরে আমরা সবাই বের হয়ে গেছি। বাইরে এসে দেখি, দোতলার গোডাউন থেকে ধোঁয়া বের হইতেছে। কারখানার সব শ্রমিকই বের হয়ে গেছে।’
কারখানার শ্রমিক হাবীবুর রহমান বলেন, ‘হঠাৎ করে শুনি আগুন লাগছে। পরে তাড়াতাড়ি কারখানার নিচে আইসা দেখি, দোতলার জানলা দিয়ে ধোঁয়া বের হইতেছে। ওই তলায় ফিনিশিংয়ের গোডাউন। শিপমেন্টের জন্য তৈরি মালপত্র রাখা হয়।’
বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের (ঢাকা অঞ্চল-৪)-এর উপসহকারী পরিচালক মো. আলাউদ্দিন বলেন, দুপুর ১২ টা ১০ মিনিটের দিকে আগুনের খবর পেয়ে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় জিরাবো মডার্ন ফায়ার সার্ভিস ও সাভার ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। দুপুর ৩ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ৪ টা ২৭ মিনিটে আগুন পুরোপুরিভাবে নির্বাপন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভবনের দ্বিতীয় তলায় গুদাম ছিল। সেখানে প্রচুর তৈরি পণ্য ছিল। আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর বলা যাবে।