
খুলনায় শ্বশুর আবদুর রশিদকে হত্যার দায়ে তাঁর জামাতা শেখ রাশেদ এবং জামাতার ভাই শেখ রকিবুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক সুমি আহমেদ এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী শুভেন্দু রায় চৌধুরী। রায় ঘোষণার সময় আসামি দুজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। নিহত আবদুর রশিদের বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায়। কিন্তু তাঁরা খানজাহান আলী থানার ফুলবাড়ী গেট এলাকায় ভাড়া থাকতেন। আসামি শেখ রাশেদ ও রকিবুল ইসলামের বাড়িও একই এলাকায়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২২ অক্টোবর রাতে নিখোঁজ হন শেখ রাশেদের শ্বশুর আবদুর রশিদ ঢালী। পরদিন সকালে তেলিগাতি এলাকার একটি ঘেরের পাড়ে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় রাশেদের শাশুড়ি ফারজানা বেগম বাদী হয়ে আড়ংঘাটা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার এজাহারে কারও নাম উল্লেখ ছিল না। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন আড়ংঘাটা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম সন্দেহভাজন হিসেবে জামাতা শেখ রাশেদকে আটক করেন। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শ্বশুরকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। ওই ঘটনায় শেখ রাশেদ ও তাঁর ভাই রকিবুল ইসলাম আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফারহানা হক বলেন, মূলত আর্থিক লেনদেনের কারণে জামাতা রাশেদের সঙ্গে শ্বশুর রশিদের মনোমালিন্য ছিল। সেই মনোমালিন্য থেকেই দুই ভাই মিলে রশিদকে হত্যা করেছেন। মামলায় মোট ১৭ জন সাক্ষী ছিলেন। এর মধ্যে আদালত ১৫ জনের সাক্ষ্য নিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সৈয়দ তৌফিক উল্লাহ। তিনি বলেন, মামলায় কোনো প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন না। কোনো দালিলিক প্রমাণও নেই। শুধু দুই ভাইয়ের ১৬৪ ধারার জবানবন্দির পরিপ্রেক্ষিতে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন তাঁরা।