
সড়কের পাশে ঝোপের ভেতর থেকে শিশুর কান্নার আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। শব্দ পেয়ে থমকে দাঁড়ান এক পথচারী। কাছে গিয়ে দেখেন, ফুটফুটে এক ছেলেশিশু সেখানে পড়ে আছে। আজ রোববার সকাল আটটায় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের শ্রীপুর-বরমী আঞ্চলিক সড়কের গাড়ারণ বাসাবাইদ পুলের কাছে ঝোপের ভেতর নবজাতকটিকে পাওয়া যায়।
পরে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঝোপের ভেতর থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শফিকুল বলেন, সড়কের পাশ থেকে কান্নার আওয়াজ শুনে পথচারীরা কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। এ সময় তিনি ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। অন্য পথচারীরা তাঁকে শিশুর কান্নার শব্দের বিষয়টি জানান। কান্নার উৎসের দিকে এগিয়ে গিয়ে তিনি দেখতে পান, সেখানে কাঁথার মধ্যে একটি ফুটফুটে নবজাতক। দ্রুত তিনি সেখান থেকে নবজাতকটিকে উদ্ধার করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে কৌতূহলী আরও অনেকেই উপস্থিত হন। এর মধ্যে এগিয়ে আসেন স্থানীয় এক নারী। নবজাতকটিকে ওই নারীর কোলে দিয়ে শ্রীপুর থানা–পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি।
পুলিশের পরামর্শে শিশুটিকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। দুপুরের দিকে শিশুটির শারীরিক অবস্থা কিছুটা খারাপ হয়ে যাওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শফিকুল ইসলাম বলেন, কান্না শুনে মনে হচ্ছিল, শিশুটি অনেকক্ষণ ধরে ক্ষুধায় কাতরাচ্ছে। শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়ার পর সরকারি ব্যবস্থাপনায় শিশুটিকে স্থানীয় ওই নারীসহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। দীর্ঘক্ষণ না খাওয়ার কারণে শিশু শারীরিকভাবে দুর্বল ছিল। শিশুটি প্রিম্যাচিউরডও হতে পারে বলে মনে হয়েছে।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহম্মদ আবদুল বারিক প্রথম আলোকে জানান, এখনো শিশুটির পরিচয় পাওয়া যায়নি।