নেত্রকোনার মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি সাংবাদিক মো. নিজাম উদ্দিন
নেত্রকোনার মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি সাংবাদিক মো. নিজাম উদ্দিন

নেত্রকোনায় সাংবাদিকের ওপর হামলা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা

নেত্রকোনার মদন উপজেলায় সাংবাদিক নিজাম উদ্দিনের ওপর হামলা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে ভুক্তভোগী নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেন।

এর আগে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মদন উপজেলা পরিষদ চত্বরে নিজাম উদ্দিনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজন ওই সাংবাদিককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তিনি আমার দেশ পত্রিকার মদন উপজেলা প্রতিনিধি এবং উপজেলা প্রেসক্লাবের সাহিত্য ও প্রচার সম্পাদক।

উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মদনে দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী মহল কৃষিজমির উপরিভাগ কেটে মাটি বিক্রি করে আসছে। পরিবেশ আইন অমান্য করে সরকারি জমিসহ ব্যক্তিমালিকানার জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি বিক্রি করায় সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। গত শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নের কদমশ্রী মৌজায় শিমেরহাটি এলাকায় বালাই নদ থেকে মাটি উত্তোলনের সময় প্রশাসন অভিযান চালায়। এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাওলিন নাহার ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে খননযন্ত্রের চালক শুভ মিয়াকে (২৭) এক মাসের কারাদণ্ড দেন। এ নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকেরা সংবাদ প্রকাশ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয় মাটি কাটা চক্রটি। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রায় ৭০ জন লোক উপজেলা পরিষদ চত্বরে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) বিরুদ্ধে মিছিল করেন। ওই ঘটনার খবর সংগ্রহ করতে গেলে মিছিলকারীদের মধ্যে কয়েকজন সমাজসেবা কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিক নিজাম উদ্দিনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় সেখানে রাখা তাঁর মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করাসহ মুঠোফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে ও আমাকে মারধর করে মুঠোফোন ও টাকাপয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা। এ সময় আমাকে মেরে ফেলে লাশ গুম করার হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনায় জড়িত চাঁনগাও হাসকুড়ি এলাকার ইমরুল হাসানকে প্রধান করে জাকির মিয়া, আল আমিন, বুলবুল মিয়া, মামুন মিয়াসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আশা করি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসামি ইমরুল হাসানের মুঠোফোন নম্বরে কল করলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। মদন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দেবাংশু কুমার বলেন, এজাহারে উল্লেখিত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।