কিশোরগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক যুবক নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলাই পুরান বাজার এলাকায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে নিহত মো. হিমেল মিয়ার (২৪) বাড়ি বৌলাই পুরান বাজার এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা যুবদলের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আলী আব্বাস ওরফে রাজন এবং সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুল হকের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। আহত ব্যক্তিদের কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রের ভাষ্য, আলী আব্বাস ও এমদাদুল হক এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
নিহত হিমেল আলী আব্বাস পক্ষের অনুসারী বলে জানা গেছে। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে আলী আব্বাস পক্ষের লোকজন এমদাদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও আগুন দেয়।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত।
এ বিষয়ে আলী আব্বাস ও এমদাদুল হকের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আলী আব্বাস ও এমদাদকে যুবদলের পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।